নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে প্রতিদিনই লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাড়ছে জ্বালানির দাম। পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস সহ অন্যান্য জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে বাড়ছে সরষে তেল সহ অন্যান্য রান্নার তেলের দাম। এমত অবস্থায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির কাছে নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে সংসার চালানো।
তবে সম্প্রতি সুখবর মিলেছে, পুজোর আগেই সরষে তেল সহ অন্যান্য রান্নার তেলের দাম লাঘব হতে পারে। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীদের ক্রমাগত আক্রমণের ফলে এবার নড়েচড়ে বসতে দেখা গেল কেন্দ্রকে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর নজরদারি চালাবে এবং দৈনিক ভিত্তিতে সেই নজরদারির উপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি গোটা দেশে মে মাস থেকে পেট্রোল-ডিজেলের দাম লাগামছাড়া ভাবে বাড়তে শুরু করে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম স্থান বিশেষে সেঞ্চুরি পার করেছে। আর একইসঙ্গে দাম বেড়েছে সরষের তেলের। গত এক বছরে সরষের তেল সহ অন্যান্য তেলের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪৮ শতাংশ। যা নজিরবিহীন ঘটনা। আর এর পরেই নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় খাদ্য, গণবণ্টন ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছে, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য রান্নার তেলের মূল্য, উৎপাদন ও আমদানির উপর দৈনিক ভিত্তিতে নজর রাখা হবে। যার ফলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, দাম যতই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তার জন্য মজুতদারির উপর নজর রাখতে হবে।
রান্নার তেলের দাম কমানোর জন্য এর আগে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে অশোধিত ও শোধিত উভয় প্রকার রান্নার তেল আমদানি কর কমানো হয়। কিন্তু তাতেও দাম কমেনি। উপরন্তু যে হারে দাম বেড়ে চলেছে সেই হারের দাম বাড়তে থাকলে পুজোর সময় রান্নার এই তেলের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি এটাও জানা যাচ্ছে, দেশে যে পরিমাণ রান্নার তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে তার ৬০ শতাংশই আসে বিদেশ থেকে। অন্যদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, আইন সংশোধন করে চাল, ডাল, আলু ইত্যাদির মতো রান্নার তেলকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য থেকে বাদ দেওয়ার কারণেই অতিরিক্ত মুনাফা লুটের সুযোগ পেয়েছে তেল উৎপাদন ও বিপণনকারী সংস্থাগুলি।