নিজস্ব প্রতিবেদন : উপ নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি পরস্পরের বিরোধীতার মাঝেই গত ৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা থেকে বিকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত হবে ভোটগ্রহণ। ভোট গণনা ৩ অক্টোবর।
এই উপনির্বাচনে যেসকল প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দিতায় নামতে ইচ্ছুক তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ দেওয়া হয় ১৩ সেপ্টেম্বর। অন্যদিকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য শেষ দিন ছিল ১৬ সেপ্টেম্বর। নির্বাচনী এই পর্যায়ে যে সকল প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবং প্রত্যাহার করেছেন তারপর দেখা যাচ্ছে ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল এবং সিপিএম-এর শ্রীজীব বিশ্বাস ছাড়াও রয়েছেন আরও ৯ জন প্রার্থী।
এই কেন্দ্রে নির্বাচনের ক্ষেত্রে হেভিওয়েট প্রার্থী বলতে তিনজনই। একজন হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় জন হলেন বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল এবং সিপিএম-এর শ্রীজীব বিশ্বাস। তবে এদের সঙ্গে সঙ্গে আরও ৩ জন প্রার্থী এই তালিকায় যুক্ত হওয়ায় যেন ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ নামে উপনির্বাচন, অন্যান্য নির্বাচনের মতো উত্তাপ বাড়াতে শুরু করেছে।
১) বেহালা পর্ণশ্রী অঞ্চলের বাসিন্দা মলয় গুহ রায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
২) তপসিয়ার মহেন্দ্র রায় লেনের বাসিন্দা স্বর্ণলতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ভারতীয় ন্যায় অধিকার রক্ষা পার্টির প্রার্থী হিসাবে।
৩) হরিদেবপুরের বাসিন্দা সুব্রত বসু মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে।
৪) হুগলি মাহেশের বাসিন্দা মঙ্গল সরকার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বহু জন মহা পার্টির প্রার্থী হিসাবে।
৫) কসবার বাসিন্দা শতদ্রু রায় মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন হিন্দুস্তানী আওয়ামি মোর্চার প্রার্থী হিসেবে।
৬) ওয়াটগঞ্জের বাসিন্দা শাহিনা আহমেদ মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে নির্দল প্রার্থী হিসেবে।
৭) নীল গোপাল মিত্র লেনের বাসিন্দা রুমা নন্দন নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা করেছেন ভবানীপুর কেন্দ্রে।
৮) চন্দ্রচূড় এম জি রোডের রবীন্দ্র আবাসনের চন্দ্রচূড় গোস্বামী মনোনয়নপত্র জমা করেছেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে।
৯) একবালপুরের বাসিন্দা আশরফ আলম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে।