নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে অধিকাংশ জিনিসের ক্ষেত্রে দাম অগ্নিমূল্য। জিনিসপত্রের দাম এই ভাবে অগ্নিমূল্য হয়ে ওঠার অন্যতম কারণ হিসেবে রয়েছে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়া। বর্তমানে পেট্রোল-ডিজেলের দাম দেশের অধিকাংশ শহরেই পার করেছে সেঞ্চুরি।
স্বাভাবিকভাবেই এই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে জিনিসপত্রের দামের ক্ষেত্রে যেমন প্রভাব পড়ছে, ঠিক তেমনই অর্থনীতির ক্ষেত্রেও এর প্রভাব যথেষ্ট। সার্বিকভাবে ধাক্কা খাচ্ছে অর্থনীতি। তবে এই পেট্রোল-ডিজেলের লিটার প্রতি দামের ক্ষেত্রে লাগাম আসতে পারে এক নিমেষে। শুধুমাত্র একটি পথ বেছে নিলেই লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১০২ টাকা থেকে আসতে পারে ৭৫ টাকায়। ডিজেলের দাম লিটার প্রতি আসতে পারে ৬৮ টাকায়। আর এই নিয়েই শুক্রবার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র।
পেট্রোল এবং ডিজেলের লিটার প্রতি এত মূল্যবৃদ্ধির মূলে রয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মোটা অঙ্কের কর। কেন্দ্র পেট্রোলের ক্ষেত্রে ৩২ শতাংশ কর নিয়ে থাকে। অন্যদিকে রাজ্য এই ক্ষেত্রে কর নিয়ে থাকে ২৩ শতাংশ। অন্যদিকে ডিজেলের উপর কেন্দ্র কর নিয়ে থাকে ৩৫ শতাংশ এবং রাজ্য কর নিয়ে থাকে ১৪ শতাংশ।
হিসেব কষলে দেখা যাবে পেট্রোলের উপর কেন্দ্র এবং রাজ্যের কর এর পরিপ্রেক্ষিতেই সাধারণ মানুষদের পকেট থেকে খসে প্রায় ৫৫ শতাংশ টাকা। একইভাবে ডিজেলের ক্ষেত্রেও করের পিছনে সাধারণ মানুষদের দিতে হয় ৪৯ শতাংশ টাকা। এই পরিস্থিতিতে যদি পেট্রোল-ডিজেলের দামে জিএসটি বসানো হয় সে ক্ষেত্রে পেট্রোল-ডিজেলের দাম লিটার প্রতি অনেকটাই কমে যাবে। সমীক্ষা অনুযায়ী এই মুহূর্তে দেশের ৭৭ শতাংশ মানুষ পেট্রোল-ডিজেলের উপর জিএসটি বসুক এমনটাই চাইছেন।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনার জন্য শুক্রবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক বসতে চলেছে। পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনার জন্য আদালত জিএসটি কাউন্সিলকে ভাবনা চিন্তা করতে বলেছিল। মূলত এই ক্ষেত্রে জিএসটি সংযুক্ত হলে করের ক্ষেত্রে জটিলতা যেমন কমবে, তেমনিই জিএসটি হিসাবে সর্বোচ্চ কর দিতে হবে ২৮ শতাংশ। সুতরাং পেট্রোল ও ডিজেলের লিটার প্রতি দাম অনেকটাই কমবে।
এর আগে পেট্রোলিয়াম দপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনতে পারে কেন্দ্র। তবে এই দুই মন্ত্রী এমনটাই ইঙ্গিত দিলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় জিএসটি কাউন্সিল। কারণেই জিএসটি কাউন্সিলের কেন্দ্র ছাড়াও রয়েছেন রাজ্যের প্রতিনিধিরাও। তবে এ মতো পরিস্থিতিতে এ দিনের বৈঠকে এই জিএসটি কাউন্সিল পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।