নিজস্ব প্রতিবেদন : শুক্রবার পেট্রোল-ডিজেলকে জিএসটির করা নিয়ে দেশের মানুষদের মধ্যে ছিল চরম কৌতুহল। কারণ এদিন ছিল জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। আর সেই বৈঠকের আগে মনে করা হচ্ছিল পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমাতে হয়তো আজই এই সকল পণ্যের উপর জিএসটি লাগু হতে পারে। কিন্তু তা হলো না, আর এমনটা না হওয়াই আপাতত কমছে না পেট্রোল-ডিজেলের দাম।
জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, জ্বালানি তেলের উপর এখনই জিএসটি বসানো হচ্ছে না। অর্থাৎ জ্বালানি তেলকে এখনই জিএসটির আওতায় আনা হচ্ছে না। এর ফলে আপাতত এখন কমছে না পেট্রোল-ডিজেলের দাম।
পেট্রোল ডিজেলকে জিএসটির আওতায় না আনার পরিপ্রেক্ষিতে জানা গিয়েছে, জিএসটি কাউন্সিলের এই বৈঠকে একাধিক রাজ্য আগে থেকেই ভেটো দিয়ে রেখেছিল, যাতে করে এখনই পেট্রোল ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনা না হয়। কারণ এই সকল রাজ্য এই পেট্রোল ডিজেলের ওপর নিজেদের হকের ভ্যাট হাতছাড়া করতে চায় না।
শুক্রবার লখনৌতে হওয়া এই জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে যে সকল রাজ্য পেট্রোল ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনার বিষয়ে ভেটো দিয়ে রেখেছিল তাদের মধ্যে যেমন রয়েছে উত্তর প্রদেশ, তেমনি রয়েছে কেরল, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র সহ অন্যান্য একাধিক রাজ্য। এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।
জিএসটির আওতায় আনার বিরুদ্ধে এই সকল রাজ্য একত্রিত হওয়ার মূলে রয়েছে, পেট্রোল-ডিজেল থেকে প্রতিটি রাজ্যের বড়োসড়ো অঙ্কের মুনাফা আসে। তাই সেই বড়োসড়ো মুনাফা এত সহজে হাতছাড়া করতে চায় না কোন রাজ্যই। কেরলের অর্থমন্ত্রী কে এন বালাগোপাল জানিয়েছেন, তাঁরা এই জ্বালানি তেলের উপর জিএসটি চান না। কারণও এতে তাঁদের সরকারের বছরে ৮ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি। একইভাবে অন্যান্য বিজেপি এবং অন্য রাজনৈতিক দল শাসিত রাজ্যগুলিও এই একই রকম মত পোষণ করেছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে পেট্রোল এবং ডিজেলের উপর কেন্দ্র ও রাজ্যের যে পরিমাণ পর রয়েছে তাতে ৫০ শতাংশের বেশি কর হিসাবেই দিতে হয় সাধারণ মানুষদের। এই পরিস্থিতিতে পুরাতন কর নীতির পরিবর্তে জিএসটি বসলে দাম অনেকটাই কমে যেত বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় আপাতত পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।