নিজস্ব প্রতিবেদন : জিএসটি কাউন্সিলের ৪৫ তম বৈঠক হলো গত শুক্রবার লখনৌতে। দেশের সাধারণ মানুষ অর্থনীতি সম্পর্কে তেমন সরগরম না হলেও এই জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক নিয়ে ছিল নানান কৌতুহল। মূলত পেট্রোপণ্যের উপর জিএসটি বসানো হচ্ছে কিনা তা নিয়েই তৈরি হয়েছিল এই কৌতুহল।
যদিও বৈঠক শেষে জানিয়ে দেওয়া হয় এখনই পেট্রোপণ্য বসানো হচ্ছে না জিএসটি। তবে পেট্রোপণ্যের ক্ষেত্রে জিএসটি বসানো না হলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে জিএসটির রদবদল করা হয়েছে। সেই রদবদল অনুসারে বেশ কিছু ক্ষেত্রে মিলেছে ছাড়।
করোনাকালে চিকিৎসার জন্য বহুল ব্যবহৃত অ্যাস্ফোটেরিসিন বি ও টেসিলিজুমাবের উপর যে জিএসটি মুকুব করা হয়েছিল তার মেয়াদ সেপ্টেম্বর থেকে বাড়িয়ে করা হলো ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। অর্থাৎ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সকল ক্ষেত্রে কোন জিএসটি দিতে হবে না গ্রাহকদের।
করোনাকালে বহুল ব্যবহৃত ওষুধ রেমডিসিভির এবং হেপারিনের উপর থাকা জিএসটির হার ১২% থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৫ শতাংশ। এর মেয়াদ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক কালের কথা মাথায় রেখে এই মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বহুল ব্যবহৃত ওষুধের ক্ষেত্রে জিএসটি দিতে হবে ৫ শতাংশ।
এর পাশাপাশি করোনা চিকিৎসা ছাড়াও আরও অন্যান্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সাতটি জীবনদায়ী ওষুধের ক্ষেত্রে জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হল ৫ শতাংশ। এই সকল ওষুধগুলি হল আইটোলিজুমাব, পোসোকোনাজোল, ইনিক্সিম্যাব, ২-ডিঅক্সি-ডি-গ্লুকোজ, ক্যান্সারের ওষুধ কিট্রুডা ইত্যাদি।
শিশুদের জীবনদায়ী ওষুধ জলজেলমা ও ভিল্টেপসো সম্পূর্ণভাবে করমুক্ত করার ঘোষণা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি শারীরিকভাবে বিশেষভাবে সক্ষমদের কোনও গাড়িতে রেট্রো-ফিটমেন্ট কিট বা অতিরিক্ত সরঞ্জাম লাগানোর ক্ষেত্রে জিএসটি কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হলো।
২০২২ সাল পর্যন্ত পণ্যবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রে জাতীয় পারমিটের ক্ষেত্রে জিএসটি মুকুব করা হয়েছে।
বায়োডিজেলের ক্ষেত্রে জিএসটি কমানো হয়েছে এবং করা হয়েছে ৫ শতাংশ।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচি যেখানে সরকার ৭৫ শতাংশ খরচ বহন করে থাকে সেই সকল ক্ষেত্রকে জিএসটি মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্যুইগি, জ্যোমাটোর মত খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থাগুলিকে এবার থেকে জিএসটি এর আওতায় আনা হলো।
ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট পরিষেবার মতো প্রকল্পে ব্যবহৃত ফোর্টিফাইড রাইস কার্নেলে জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হল ৫ শতাংশ।
করোনা চিকিৎসার জন্য অন্যান্য বিভিন্ন সরঞ্জামের ক্ষেত্রে যে জিএসটি মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল তা ৩০ সেপ্টেম্বরের পর আর জিএসটি মুক্ত থাকবে না।
রেলের যন্ত্রাংশ এবং লোকোমোটিভের ক্ষেত্রে জিএসটি বেড়ে যাচ্ছে ১২ থেকে ১৮ শতাংশ।
নির্দিষ্ট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ডিভাইসের ক্ষেত্রে জিএসটি লাগু হবে ১২ শতাংশ।