নিজস্ব প্রতিবেদন : শিশুদের ক্ষেত্রে জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দিলে কিভাবে চিকিৎসা করতে হবে তা নিয়ে নতুন গাইডলাইন জারি করল স্বাস্থ্য ভবন। এই গাইডলাইনে বলা হয়েছে আক্রান্ত শিশুকে কিভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে, কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা করতে হবে এবং বিপদের পূর্বাভাস বুঝে কখন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে মূলত রাজ্যে প্রতিনিয়ত জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়। বর্তমান করোনাকালে শিশুদের এই জ্বর রীতিমতো আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করেছে রাজ্যজুড়ে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটি এই জ্বরের কারণ খুঁজে চিকিৎসা সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।
ঘরোয়া চিকিৎসা
জ্বর অথবা শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দিলে শিশুর ওজন অনুযায়ী প্রতি কেজিতে ১০-১৫ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল দিতে হবে।
প্যারাসিটামল দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্ততপক্ষে চার ঘণ্টার ব্যবধানে রাখতে হবে। দিনে পাঁচ বারের বেশি এই প্যারাসিটামল দেওয়া যাবে না।
প্রয়োজন পড়লে সর্দি এবং কাশির ওষুধ দিতে হবে।
নাক বন্ধ হয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটালে এবং সংক্রমণ এড়াতে নজ্যাল ড্রপ দিতে হবে।
বমি হলে তা বন্ধ করার জন্য ডমপেরিডন অথবা অন্ডাসেট্রন দিতে হবে।
জ্বরের সঙ্গে পেট খারাপ হলে দিতে হবে ওআরএস এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাবার।
নজর রাখতে হবে দেহের তাপমাত্রা, শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি এবং প্রস্রাবের পরিমাণ।
কি কি লক্ষণ দেখলে জরুরিভিত্তিতে যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে
প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট, টানা তিন দিন জ্বর না কমলে, পাঁচ দিনের বেশি জ্বর থাকলে, দ্রুত শ্বাস নিলে, শিশুর বুক দ্রুত ওঠানামা করলে, স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়ার তুলনায় ৫০% খাওয়া-দাওয়া কম করলে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০-এর নিচে নেমে গেলে, জ্বরের সঙ্গে শিশুর কো-মর্বিডিটি থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।