নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক ধরেই চলছিল পরিকল্পনা। এরপরই হঠাৎ ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর দিদি রচনা ব্যানার্জি কাপড়ের ব্যবসা খুলে ফেললেন। প্রথম দিন ফেসবুকে লাইক করে তিনি তার কাপড়ের কালেকশন সকলের সামনে তুলে ধরেন।
তবে এই অভিনেত্রী নিজের নতুন ব্যবসা খোলার পরেই তাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় ব্যাপক ট্রোলড। পাশাপাশি ছোট ছোট শাড়ি ব্যবসায়ীরা রচনা ব্যানার্জীর এমন ফেসবুক লাইক করে শাড়ি বিক্রি করা নিয়ে ক্ষুব্ধ হন। কেউ কেউ আবার ‘গরিবের পেটে লাথি মারা’র প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে আসেন। ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা আক্ষেপ করেন, ‘নিজের জনপ্রিয়তা দৌলতে রচনা আর এই নতুন ব্যবসা ঝড়ের গতিতে এগিয়ে যাবে।’
অনেকেই আবার তার এই নতুন ব্যবসা শুরু করার পর তাকে কটাক্ষ করতে শুরু করেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাচ্ছেন না তাই বাধ্য হয়ে শাড়ি বিক্রি করতে বসেছেন রচনা’। কেউ কেউ আবার তার এই শাড়ির দাম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অভিযোগ করেছেন তার শাড়ির দাম অনেক বেশি। গড়িয়াহাটে অনেক সস্তায় এই শাড়ি পাওয়া যায় তাহলে কেন তার থেকে শাড়ি কিনবেন? এই প্রশ্ন তুলেছেন। তবে এবার এই একাধিক সমালোচনার জবাব দিলেন তিনি।
এসকল একাধিক কটাক্ষের জবাব দিতে গিয়ে সোমবার নিজের শাড়ির প্রদর্শন দেখানোর আগে হাসিমুখেই দেখা যায়। আসলেই তিনি হাসিমুখেই নিন্দুকদের জবাব দেন। তিনি বলেন, “আমি শাড়ি বিক্রি করছি বলে অনেকেই হয়তো দুঃখ পাচ্ছেন। যারা দুঃখ পাচ্ছেন তাদের জন্য বলি, রচনা পথপ্রদর্শক। শাড়ি বিক্রি করা কোনও ছোট কাজ নয়, আপনারাই বলুন না,‘শাড়ির ব্যবসা করা কি খারাপ?”
তিনি আরও বলেন, “আমার শাড়ি বিক্রি করা দেখে যারা যারা ভয় পাচ্ছেন তাদের শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ সবাই যে আমার কাছ থেকেই নেবেন এমনটা নয়।”
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বহু অভিনেত্রীই তাদের অভিনয়ের কাজ চালানোর পাশাপাশি শাড়ি, বুটিক ইত্যাদির ব্যবসা খুলছেন। অনেকে আবার রেস্তোরাঁ, অত্যাধুনিক জিম ইত্যাদিও খুলেছেন। অভিনেত্রী-সঞ্চালক সুদীপা বন্দ্যোপাধ্যায়, গায়িকা লোপামুদ্রা মিত্রের নিজস্ব বুটিক রয়েছে। এবার এই তালিকায় নাম উঠেছে রচনা ব্যানার্জীর।