নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা প্রকল্পের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই পরিবর্তন অনুযায়ী এবার নতুন করে নাম নথিভুক্ত করা কৃষকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট জমা করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ সেই ডকুমেন্ট জমা না করা হলে আটকে যেতে পারে সামনের কিস্তি।
কেন্দ্রের তরফ থেকে এই প্রকল্পের জন্য প্রকল্পের আওতায় থাকা দেশের চাষীদের বছরে ছয় হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়ে থাকে। আগামী দিনে এই অর্থের পরিমাণ দ্বিগুণ অর্থাৎ ১২ হাজার টাকা করার পর্যালোচনা করছে কেন্দ্র। এই পর্যালোচনায় সম্মতি মিললে আগামী দিনে বছরে ১২০০০ টাকা করে পাবেন চাষিরা।
সরকারের তরফ থেকে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন করা হয়েছে তা হলো, সেই সকল চাষিরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন যাদের নিজের নামে চাষযোগ্য জমি রয়েছে। অর্থাৎ বাবা দাদু অথবা পরিবারের অন্য কারোর নামে চাষযোগ্য জমি থাকলে এই প্রকল্পের আওতায় টাকা পাওয়া যাবে না। সুতরাং যদি কোন ব্যক্তির নিজের নামে জমি না থাকে, তাহলে নাম নথিভুক্ত করার আগে তাকে নিজের নামে জমির প্লট ট্রান্সফার করিয়ে তারপর প্লট নম্বর দিতে হবে আবেদন করার সময়।
২০১৯ সালে এই প্রকল্প শুরু করার পর বেশ কিছু গড়মিল লক্ষ্য করা গিয়েছে। এবার সেই সকল গরমিল সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। যার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার থেকে এই প্রকল্পের আওতায় নাম রেজিস্ট্রেশন করার সময় রেজিস্ট্রেশন ফর্মে দিতে হবে জমির প্লট নম্বর। যদিও এই নতুন নিয়ম আগেই যাদের এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা প্রকল্পের আওতায় সেই সকল কৃষকরা নাম নথিভুক্ত করতে পারেন যাঁদের ২ হেক্টর অথবা ৫ একর জমি রয়েছে। তবে কোন কৃষক যদি ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন এর আওতায় পড়েন তাহলে তিনি এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের টাকা দেওয়া হয়ে থাকে প্রত্যেক অর্থ বর্ষের ১ এপ্রিল থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম কিস্তি, ১ আগস্ট থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় কিস্তি এবং ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে তৃতীয় কিস্তি।