নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া মাতিয়ে রেখেছে শোভন-বৈশাখী জুটি। মূলত পুজোকে কেন্দ্র করে তাদের ফ্যাশন শ্যুট এই চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে। দিন কয়েক আগেই তাদের প্রথম দেখা যায় আবাসনের ব্যালকনিতে রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘মম চিত্তে’ গানের সঙ্গে ‘তাতা থৈথৈ’ তালে নাচতে বৈশাখীকে।
এরপর লক্ষ্য করা যায় শোভন চ্যাটার্জিকে পিয়ানোর সামনে বসে টুংটাং করতে। এরপর আবার আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যায় দুজনে কখনো ভিক্টোরিয়া কখনো আবার ময়দানে প্রেমলীলায় মাততে। এই সকল ভিডিও এবং তাদের দুজনের এমন ঘোরাফেরা প্রমাণ করে বয়স কেবলমাত্র দুটি সংখ্যা।
তবে এই সকল ঘটনাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন হাসি-ঠাট্টা হয়নি। তবে হাসি-ঠাট্টা হলেও তারা এই যে এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তারা ক্রমশ চর্চায় উঠে আসতেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমও তাদের পিছনে ছুটে চলেছেন। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের সময় নিজেদের সম্পর্কের অজানা অনেক তথ্য সামনে এনেছেন এই জুটি।
সর্বভারতীয় ওই চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় অকপটভাবে বৈশাখীকে বলতে শোনা যায়, তাদের এই সম্পর্ক এক দুই বছরের নয়, নাই নাই করে ১৩ বছর হয়ে গেল। এখানেই শেষ নয়, এর সঙ্গে সঙ্গে শোভন বান্ধবীকে বলতে শোনা যায়, তার চোখে তো সকলই শোভন।
তবে এরপরেই প্রশ্ন ওঠে ৫৭ বছর বয়সী শোভনের প্রেমে পড়লেন কিভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বৈশাখী ব্যানার্জি জানান, তিনি শোভনকে মানুষ হিসাবে কদর করেছেন। শোভনকে সম্মান করেছেন। এর পরেই তিনি বলেন, “শোভন বাইরে প্রচণ্ড দাপুটে মেয়র, কিন্তু যখন বাড়ি এসে আমার সঙ্গে আলোচনা হত তখন সেটা আমার কোনওদিন মনে হয়নি যে ও আমার চেয়ে বয়সে কতটা বড়”।
অন্যদিকে শোভন চ্যাটার্জি জানান, “প্রকৃতপক্ষে যদি কেউ সঙ্গী হয়, প্রকৃত অর্থে যদি সম্পর্কের মর্যাদা দেয়, তাহলে আমি মনে করি সেটাই আবেগের সঠিক বহিঃপ্রকাশ। সেটাই আসল রোম্যান্স। প্রেম এসে থাকলে তা জীবনে ছেড়ে যায় না”। আর সঙ্গে সঙ্গেই বৈশাখী ব্যানার্জির গলাফাটা সমর্থন আসে। তিনি বলেন, “আমরা জীবনে নিশ্চয় অন্য কারুর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম, কিন্তু প্রেম ছিল না… থাকলে তা যেত না”।
অন্যদিকে তাদের এই জুটিতে কোনরকম বিচ্ছেদ হবে না এমনটাও জোর গলায় পড়তে দেখা যায় শোভন বান্ধবী বৈশাখী ব্যানার্জিকে। তিনি বলেন, “শোভন আমাকে একটা কথা বলেছিল, আমি যার হাত ধরি তার হাত ছাড়ি না”। বান্ধবীর মুখ থেকে এই কথা ছুটে আসতেই পাস থেকে শোভনের সংযোজন, “আমি যাকে বুক দেখাই, তাঁকে পিঠ দেখাই না।”
শোভন চ্যাটার্জীর এই শেষের সংযোজন শুনেই হেসে খুন নেটিজেনরা। এই মন্তব্যের জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ট্রোলড হচ্ছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। যদিও তার অথবা তার বান্ধবীর এইসকল ট্রোলড নিয়ে কোনোরকম মাথাব্যথা নেই। তারা দিব্যি ডুবে আছেন নিজেদের প্রেম সাগরে।