নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘদিন ধরেই দুজনে একসাথেই বসবাস শুরু করেছেন। যা নিয়ে প্রতিনিয়ত বিতর্ক চলতে থাকে রাজ্যজুড়ে। তবে সেই বিতর্কে কোন রকম কান না দিয়ে শোভন বৈশাখী চলেছেন নিজস্ব ছন্দেই। এযাবত তাদের সব জায়গাতেই বন্ধু বান্ধবীর সম্পর্ক তুলে ধরতে দেখা যাচ্ছিল। তবে বিজয়া দশমীর দিন মা দুর্গাকে সাক্ষী রেখে বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিলেন শোভন। আর এই সিঁদুর পরানোর ঘটনার পরেই বিপাকে পড়লেন শোভন চ্যাটার্জি।
দুর্গাপুজো শুরু হওয়ার আগে থেকেই এই দুই জুটিকে কখনো ফটোশুট, কখনো আবার ভিক্টোরিয়ার সামনে, ময়দানে হৈ হুল্লোড় করে বেড়াতে দেখা যাচ্ছিল। যা নিয়ে তারা প্রতিনিয়ত ছিলেন সংবাদের শিরোনামে। আর দুর্গাপুজোর পরেও সেই শিরোনামে থাকার ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন তারা।
উমার বিদায়ের দিন তাদের সম্পর্ককে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন শোভন। শুক্রবার বিরাটিতে এক পারিবারিক দুর্গাপুজোয় হাজির হয়েছিলেন তারা। সেখানেই মাকে বরণ করার জন্য সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেন তারা। তখনই শোভন-বৈশাখীর গালে সিঁদুর লাগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সিঁথিতেও সিঁদুর পরিয়ে দেন।
আর সেই মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বৈশাখী ব্যানার্জি এবং বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান। অন্যদিকে সেই মুহূর্ত কতটা আনন্দের সেই কথা জানাতে গিয়ে বৈশাখী ব্যানার্জি জানান, “অনেকে অনেক কথাই বলেছেন। অনেকে ভেবেছেন হয়তো শোভন আমাদের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেবে না। কিন্তু আজ সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে সত্যিই স্বীকৃতি দিল।”
অন্যদিকে এই ঘটনার পর মুখ খুলেছেন শোভন চ্যাটার্জি স্ত্রীর রত্না চ্যাটার্জী। তিনি জানিয়েছেন, “হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী আমি এখনো শোভনের স্ত্রী। তাই ও অন্য কাউকে সিঁদুর পরাতে পারে না।” রত্না চ্যাটার্জির এইভাবে মুখ খোলার পর প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি বিপাকে পড়তে চলেছেন শোভন চ্যাটার্জি? কারণ গত তিন বছর ধরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চললেও এখনো সেই মামলার নিষ্পত্তি হয় নি।