নিজস্ব প্রতিবেদন : অনেক সময় মানুষের হাতে বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যে টাকা সঞ্চিত রয়েছে তার থেকেও বেশি টাকার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এমত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে কারোর সাহায্য নিতে হয়, হাত পাততে হয়। তবে অন্য কোনো ব্যক্তির কাছে হাত না পেতে ব্যাঙ্ক থেকেও মিলতে পারে অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার তুলনায় বেশি।
অ্যাকাউন্টে যে পরিমাণ অর্থ রয়েছে তার থেকে বেশি তোলার এই সুবিধাকে বলা হয়ে থাকে ওভারড্রাফট। বর্তমানে দেশের প্রায় প্রতিটি ব্যাঙ্কেই রয়েছে এই সুবিধা। এই সুবিধার মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থের তুলনায় বেশি অর্থ তুলতে পারেন। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, ব্যাঙ্কের এই ওভারড্রাফট সুবিধা একপ্রকার লোন।
গ্রাহকরা তাদের অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থের তুলনায় বেশি অর্থ ওভারড্রাফটের মাধ্যমে তুলে নেওয়ার পর সেই টাকা তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শোধ করতে হয়। পাশাপাশি এইটা কার পরিমাণ এবং দিনের সংখ্যার নিরিখে সুদও নিতে হবে। তবে বিপদের সময় এই ওভারড্রাফটের টাকা বহু কাজে আসতে পারে সাধারণ মানুষদের।
গ্রাহকদের এই ওভারড্রাফটের সুবিধা যেকোনো অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদের দিতে পারে। তবে ওভারড্রাফটের এই পরিমাণ কতখানি হবে তা নির্ভর করে NBFCs-এর উপর। অন্যদিকে গ্রাহকদের এই সুবিধা নেওয়ার জন্য লিখিত অথবা ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে ব্যাঙ্কের কাছে অনুমোদন নিতে হয়।
অনেক ক্ষেত্রে বহু ব্যাঙ্ক এই সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রসেসিং ফি নিয়ে থাকে। আবার এই সুবিধা দু’রকমের হয়, একটি হল সুরক্ষিত এবং অপরটি অসুরক্ষিত। সুরক্ষিত ওভারড্রাফটের জন্য গ্রাহকদের সিকিউরিটি হিসাবে ব্যাঙ্কে কিছু জমা রাখতে হয়। তবে কিছু সিকিউরিটি না রেখে ওভারড্রাফট নেওয়ার পদ্ধতিকে বলা হয়ে থাকে অসুরক্ষিত ওভারড্রাফট।
ওভারড্রাফটের মাধ্যমে এই টাকা নেওয়ার পর তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের শোধ করে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শোধ করলে কেবলমাত্র ওই দিনগুলির সুদ দিতে হয়। হিসেব অনুযায়ী ওভারড্রাফটের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার পর তা নির্দিষ্ট সময়ে করলে লোনের থেকে কম খরচ হয়।