নিজস্ব প্রতিবেদন : টলি অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) এবং নিখিল জৈন (Nikhil Jain), একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ হওয়ার বছর খানেকের মধ্যেই তাদের সম্পর্ক তলানীতে ঠেকে। তুরস্কে ধুমধাম করে বিয়ে হলেও সে সব এখন অতীত। এখন অভিনেত্রীর জীবনে এসেছে নতুন অধ্যায়। নতুন সঙ্গীর পাশাপাশি জীবন চলছে সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে।
তবে নুসরত নতুন অধ্যায় শুরু করলেও নিখিল তার জন্মদিনে পেলেন সবচেয়ে বড় উপহার। নুসরত ও নিখিলের বিয়ে এবং সম্পর্ক নিয়ে গত বছর খানেক ধরেই চলছে টানাপোড়েন। দুজন দুজনের থেকে আলাদা থাকতে শুরু করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীকে নিয়ে নানান ঝড় বয়েছে। অভিনেত্রীর গর্ভবতী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় এই সকল সমালোচনা, কটাক্ষ ইত্যাদি।
আর এই সকল পরিস্থিতির মধ্যেই নিখিল নুসরতের থেকে আলাদা হওয়ার জন্য আদালতে একটি মামলা করেন। সেই মামলার রায় বের হয় নিখিলের জন্মদিনেই। সেই মামলায় জয় পেয়ে নিখিল সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমি যে মামলা করেছিলাম, তাতে আমার জয় হয়েছে। জন্মদিনের দিন এই খবর পেয়ে খুব খুশি আমি। শুধু আমি না, আমার বাবাও খুব খুশি। মা হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন।”
নিখিল আরও জানিয়েছেন, নুসরতের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর থেকে তার একটা জন্মদিনে ভালোভাবে কাটেনি। ২০১৯ সালে জন্মদিনের সময় হাসপাতালে ছিলেন নুসরত। পরের বছর যশকে নিয়ে ঝগড়া হয়। তবে এই বছর আদালতের এই রায়ের পর ঘরোয়াভাবেই পার্টি করেছেন তিনি। ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
নুসরতকে নিয়ে যখন তোলপাড় হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া সেই সময় হঠাৎ অভিনেত্রী নিখিল ও তার সম্পর্কে ‘সহবাস’ তকমা দিয়েছিলেন। আদালতের রায়ের পর সেই তকমা আপাতত ভুল প্রমাণিত হলো বলেই মনে করছেন নুসরত। এর পাশাপাশি আদালত যে রায় দিয়েছে, তাদের দুজনের বিয়ে বৈধ ছিল না, এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিনেত্রী আর নিখিলের কাছে খোরপোষ দাবি করতে পারবেন না।
এসবের পরিপ্রেক্ষিতে নিখিল জানিয়েছেন, আদালতের এই রায় তার জীবনে শান্তি ডেকে এনেছে। আপাতত তিনি নতুন করে জীবন শুরু করতে চান। নিজের ফ্যাশন ব্র্যান্ডের কাজে নিজেকে ভালো করে নিযুক্ত করতে চান।