নিজস্ব প্রতিবেদন : পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে গত বছর পাশ হয় বিতর্কিত তিন কৃষি আইন (farm law)। এই কৃষি আইন নিয়ে প্রথম থেকেই কৃষকরা আন্দোলনে নেমে পড়েন। তাদের দাবি একটাই, এই আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন থামবে না। এক বছরের বেশি সময় ধরে কৃষকদের এই আন্দোলন চলার পর গুরু নানকের জন্মদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (narendra modi) এই আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, ঘোষণা তো হলো, এখন কোন পথে বাতিল হবে পাশ হওয়া এই তিন কৃষি আইন। যে কোন আইন পাশ করার ক্ষেত্রে যেমন পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনই পাশ হওয়া এই আইন বাতিলের ক্ষেত্রেও পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কেবলমাত্র ঘোষণা করে দিলেই এই আইন বাতিল হবে না। এই আইন বাতিল করার জন্য সরকারকে সংসদীয় প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৯ নভেম্বর শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই আইন প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হবে। শীতকালীন এই অধিবেশন চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সংবিধানের ২৪৫ ধারা অনুযায়ী দেশের যে কোন আইন বাতিল করার জন্য সংসদে প্রস্তাবনা পেশ করতে হয়।
আইন বাতিল করার জন্য সংসদে বিল পাশ করার পর আইন প্রণয়ন করার মতোই সংসদের উভয় কক্ষে বাতিল নিয়ে আলোচনা হয়। তারপর ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে পাশ হওয়া এই আইন প্রত্যাহারের পথে যেতে হবে সরকারকে। আইন প্রত্যাহারের বিল সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর সেই বিল পাঠাতে হবে রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করার পরেই এই আইন বাতিল হবে।
‘রিপিল বিল’-এর মাধ্যমেই পাশ হওয়া এই আইন বাতিল করা যেতে পারে। পাশাপাশি এই আইন বাতিল করার সময় সংসদে আলোচনার করার সময় সরকারকে সব পক্ষকে জানাতে হবে কেন তারা এই আইন বাতিল করছেন? এই আইন বাতিলের উদ্দেশ্য কি রয়েছে? এ নিয়ে সরকারকে রীতিমতো বিবৃতি পেশ করতে হবে।