নিজস্ব প্রতিবেদন : পেট্রোল-ডিজেলের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পেতে পেতে এমন জায়গায় পৌঁছে যায়, যা আমজনতার কাছে নাভিশ্বাসে পরিণত হয়। প্রতিনিয়ত এই ভাবেই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে প্রবল চাপে পড়তে থাকে কেন্দ্র সরকার। এরই মধ্যে দিওয়ালির আগের রাতে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে পেট্রোল ডিজেলের উপর ভ্যাট ছাড়ার ঘোষণা করা হয়।
দিওয়ালির আগের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন, দিওয়ালি দিন থেকে দেশজুড়ে লিটার প্রতি পেট্রলে ৫ টাকা এবং লিটার প্রতি ডিজেলে কেন্দ্র সরকার ১০ টাকা করে ছাড় দেবে। কেন্দ্রের ঘোষণা মত এই ছাড় কার্যকর হয় এবং কিছুটা হলেও স্বস্তি মেলে দেশের বাসিন্দাদের। সেঞ্চুরি পার করা পেট্রোল-ডিজেলের দাম রাজ্য বিশেষে অনেকটাই কমে যায়।
এসবের মাঝেই আবার কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জ্বালানির দাম কমানোর জন্য অভিনব পদক্ষেপ নেওয়া হলো। কেন্দ্রের এই অভিনব পদক্ষেপে জ্বালানির আরও দাম কমতে পারে এমনটাই আশা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দিল্লিতে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তেল বিপণন সংস্থাগুলির আধিকারিকরাও।
এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে তা হল, ৫০ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। বিশ্বের সবথেকে বেশি তেল ব্যবহারকারী দেশ যেমন আমেরিকা, জাপান, চিন, কোরিয়ার সঙ্গে সমঝোতার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এর ফলে যদিওবা জ্বালানির দাম কমে তাতে তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পরিশোধিত তেলের সরবরাহ কমানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার। কারণ এর ফলেই বাড়ছে জ্বালানির দাম এবং জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে বাড়ছে অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম। এক্ষেত্রে ৫০ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ছাড়া হলে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম কমানোর জন্য সৌদি আরবের মতো ওপেক দেশগুলির উপর বাড়তি চাপ দেওয়া যেতে পারে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত, আমেরিকা, চীন, জাপান সহ একাধিক দেশ।