ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’, এই দিন থেকে প্রবল ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি সপ্তাহের শেষ এই নেমে আসতে পারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’, এমনটাই প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় শাহিনের পর এই ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে থাইল্যান্ড থেকে। মূলত থাইল্যান্ড থেকে ধেয়ে আসা নিম্নচাপ বঙ্গোপসাগরে এসে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে যে সকল নামকরণ করা হয়ে থাকে হাওয়া অফিসের সেই তালিকা অনুযায়ী এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নাম হবে জাওয়াদ। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে সৌদি আরবের তরফ থেকে। জাওয়াদ কথাটির অর্থ হলো উদার বা মহান। তবে এই ঘূর্ণিঝড় কতটা উদার বা মহান-এর পরিবর্তে ভয়ঙ্কর হতে পারে তা নিয়েই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।

এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সপ্তাহান্তে কলকাতা সহ উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। প্রবল বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। পাশাপাশি এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তার প্রভাবে বুধবার সকাল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই শীতের আমেজ থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটবে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।

আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ থাইল্যান্ডের তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণাবর্তে রূপান্তরিত হয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমেই ঢুকে পড়বে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে। বৃহস্পতিবার এই ঘূর্ণাবর্ত আরও শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দক্ষিণ-পূর্ব, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে।

বঙ্গোপসাগরের এই স্থানে এই গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করার পাশাপাশি চলবে শক্তি সঞ্চয়ের কাজ। সেখানেই শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপ পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর এর অভিমুখ হবে উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং শুক্রবার থেকে ধীরে ধীরে বাংলার আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটাতে শুরু করবে। এই দিন থেকেই আকাশ ঢাকা পড়তে পারে কালো মেঘে এবং হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি শুরু হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।

এরপর শনিবার এই ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা উড়িষ্যা উপকূলে। এর প্রভাবেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হবে বৃষ্টি। শনিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগ। রবিবার পরিস্থিতি আরও প্রতিকূল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় হতে পারে ৪০-৫০ কিলোমিটার।