নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন কোন জিনিস নেই যার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে না। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়েছে, বেড়েছে মোবাইল খরচ। এই সকল ক্ষেত্র ছাড়াও প্রতিনিয়ত মূল্য বৃদ্ধি হয়ে চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের।
প্রতিনিয়ত জিনিসপত্রের দাম এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ বৃদ্ধি হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই নাজেহাল অবস্থা হয়ে উঠছে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের। আবার আগামী জানুয়ারি মাস থেকে এটিএম থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে লাগু হচ্ছে নয়া নিয়ম। এই নয়া নিয়মের জেরে বাড়তে চলেছে এটিএম থেকে টাকা তোলার খরচও।
এটিএম থেকে টাকা তোলার খরচ বৃদ্ধি করার ব্যাপারে গত জুন মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ব্যাঙ্কগুলিকে অনুমোদন দিয়েছে। এই অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতেই ব্যাঙ্কগুলি আগামী বছর জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে এটিএম মারফত টাকা তোলা অথবা যেকোনো ধরনের ট্রানজেকশন করার ক্ষেত্রে খরচ বাড়াচ্ছে।
নিয়ম অনুসারে নিজেদের ব্যাঙ্কের এটিএমে প্রতি মাসে পাঁচ বার যেকোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে কোন রকম চার্জ কাটা হয় না। একইভাবে অন্য ব্যাঙ্কের এটিএমে যেকোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে মেট্রো শহরগুলিতে বিনামূল্যে তিনবার এবং অন্যত্র বিনামূল্যে পাঁচবার পরিষেবা পাওয়া যায়। এর বাইরে লেনদেন করলেই খরচ হিসাবে গ্রাহকদের বাড়তি চার্জ দিতে হতো ২০ টাকা।
এবার সেই খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে আগামী বছর জানুয়ারি মাস থেকে। এর আগে ২০১৪ সালে এই খরচ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ব্যাঙ্কগুলি। নতুন নিয়ম অনুসারে আগামী জানুয়ারি মাস থেকে খরচ বাড়ানো হচ্ছে এক টাকা। অর্থাৎ বিনামূল্যে পরিষেবার বাইরে কোনো রকম লেনদেন করা হলে গ্রাহকদের বাড়তি খরচ হিসাবে দিতে হবে ২১ টাকা।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভাল, এটিএম থেকে লেনদেন বলতে কেবলমাত্র টাকা তোলা নয়। যদি কোনো গ্রাহক এটিএম মেশিন ব্যবহার করে নিজেদের ট্রানজেকশন হিস্ট্রি অথবা ব্যালেন্স চেক করেন সেটি কেউ কিন্তু একবার লেনদেন হিসাবে ধরা হয়। সুতরাং নতুন নিয়ম লাগু হলে কোনো গ্রাহক নিজেদের ব্যাঙ্কের এটিএম পাঁচ বারের বেশি এবং অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম তিনবার (মেট্রো) বা পাঁচবারের (অন্যত্র) ব্যবহার করলেই বাড়তি চার্জ হিসাবে ২১ টাকা করে গুনতে হবে।