রাজ্যের বাকি পৌরসভায় কবে ভোট, জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : হাতে মাত্র কয়েকটা দিন তারপরেই রয়েছে কলকাতা পৌরসভার নির্বাচন। তবে এই পৌরসভার নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই চলছে শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। বিরোধী দল বিজেপি বারংবার দাবি করছে একসঙ্গে রাজ্যের প্রতিটি পৌরসভার ভোট করানোর। এমনকি এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছে তারা। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের পৌরসভার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রশ্ন তাদের পৌরসভায় কবে হবে ভোট?

Advertisements

বর্তমানে রাজ্যের প্রতিটি পৌরসভারই মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। করোনার কারণে এই সকল পৌরসভায় নির্বাচন সম্ভব হয়নি। পরিবর্তে এইসকল পৌরসভায় প্রশাসকের ভূমিকায় রয়েছেন পূর্বতন চেয়ারম্যান অথবা কাউন্সিলররা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসক দলের নেতা নেতা নেত্রীরাই এই সকল পদে বসে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিরোধীরাও রাজ্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে দ্রুত এই সকল পৌরসভা ভোটের জন্য। এই সকল পৌরসভায় কবে ভোট হবে এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisements

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে রয়েছেন উত্তরবঙ্গ সফরে। সেই সফরের মাঝে মঙ্গলবার কর্ণজোড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি জানান, “আগামী দু-তিন মাসের মধ্যেই পুরভোট হয়ে যাবে। দু-তিন মাসের মধ্যে আমি সব পুর ভোট করে দেব… আমি চিন্তা করছি যেগুলো পেন্ডিং হয়ে আছে।” অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা অনুযায়ী, দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে রাজ্যের বাকি পৌরসভাগুলিতে ভোট হয়ে যাবে।

Advertisements

যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সমালোচনা শুরু করেছে বিজেপি। বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের নিজের ইচ্ছেমতো ভোটের দিন ঘোষণা করে দিচ্ছেন। এটা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। ভোট কবে হবে তা তো ঠিক করবে কমিশন। ভোটের জন্য তো কমিশন রয়েছে।

একইভাবে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক তৃণমূলের দলীয় বৈঠক বলে কটাক্ষ করেছেন। তার কথা অনুযায়ী, প্রশাসনিক বৈঠকের বিরোধীদলের বিধায়ক অথবা সাংসদদের ডাকা হয় না। সেখানে জেলা সভাপতি হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করেন ডিএম এবং জেলা কো-অর্ডিনেটর হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন এসপি।

Advertisements