নিজস্ব প্রতিবেদন : ডেউচা পাচামি কয়লা খনি প্রকল্প নিয়ে দিন কয়েক ধরেই প্রশাসনিক তৎপরতার পাশাপাশি চলছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকা নিয়ে সম্প্রতি প্যাকেজ ঘোষণা করার পর থেকেই শুরু হয়েছে এই তৎপরতা।
ইতিমধ্যেই এই কয়লা খনি এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুক্রবার এই এলাকা পরিদর্শন করতে আসেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি এই এলাকায় আসতেই প্রথমেই বাধার সম্মুখীন হন। কালো পতাকা দেখিয়ে তার গাড়ি আটকানো হয়। যদিও পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয় এবং সুজন চক্রবর্তী ও তার প্রতিনিধি দল প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকায় প্রবেশ করেন।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, “মধ্যপ্রদেশে বিজেপি সরকারের মতো এখানেও তৃণমূল সরকার একই কাজ করছে। আমাদের ওখানে যেতে দেওয়াতে তাদের খুব আপত্তি। দু’চারটে ছেলে কালো পতাকা নিয়ে এসে দেখাবার চেষ্টা করেছিল, দেখাতে পারেনি।”
এর পাশাপাশি তিনি জানান, “তৃণমূল বোধহয় এই এলাকাকে তাদের জমিদারি ভেবে থাকে। লোকেও বলতে পারবে না, আমরাও কিছু শুনতে পারবো না, এমন একটা ভাব। তবে তাতে কোনো লাভ হয়নি। আমরা আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মানুষের সাথে কথা বললাম এবং জানতে পারলাম সরকার সাধারণ মানুষদের সাথে কথা বলেনি।”
‘ডেউচা পাচামি কয়লা খনি প্রকল্প তৃণমূলের জমিদারি নাকি’ এমন প্রশ্ন তুলতেই পাল্টা বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানান, “২০১০ সালেও এই মহঃবাজারে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে আটকে ছিল আদিবাসীরা। ৩৪ বছর ধরে কিছু করে নি ভাই আর এখন মুখ দেখালে হবে? আদিবাসীদের কাছে কেবল ভোট নিয়েছে। আদিবাসীদের কেবল ভুল বুঝিয়েছে।”