নিজস্ব প্রতিবেদন : গতবছর করোনা সংক্রমণের কারণে হয়নি পৌষ মেলা। তবে এই বছর সংক্রমণ কিছুটা কম থাকায় অনেকেই ভেবেছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ছোট করে হলেও পৌষ মেলার আয়োজন করবে। কিন্তু সেই মেলা নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনো রকম উচ্চবাচ্য না করায় বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ এবং বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির যৌথ উদ্যোগে বিকল্প একটি মেলা হচ্ছে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে।
কলকাতা পৌরনিগম নির্বাচনে তৃণমূলের জয়জয়কারের পর অনুব্রত মণ্ডলের সামনে এই পৌষ মেলা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেই তিনি রীতিমতো একের পর এক কটাক্ষ করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। তিনি বলেন, “একটা অপদার্থ ভিসি থাকলে এই অবস্থাই হবে। সকালবেলায় শুনলাম, ভিসি নাকি গলায় দড়ি নিতে গিয়েছিল। শোনা কথা। আমি শুনলাম সকালবেলায়। ধিক্কারে হতে পারে।”
এরপরেই প্রশ্ন ওঠেই ভিসি যদি মেলা করার জন্য আপনার (অনুব্রত মণ্ডল) কাছে আসতো তাহলে আপনি কি করতেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, “আমার কাছে এলে আমি ওর কথা শুনবো কেন? ওতো বিজেপির দালাল। দালালের কথা কেউ শোনে। বিজেপির লোকের কথা শুনবো কিন্তু বিজেপির দালাল এর কথা শুনবো না। বাঙালির আবেগটা নষ্ট করে দিল। তার জবাব দেবে বোলপুর।”
এর পাশাপাশি কলকাতা পৌর নিগমের নির্বাচনে বিপুল জয়লাভের পর আগামী যেসকল পৌরসভা নির্বাচন রয়েছে সেই সকল পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠলে অনুব্রত মণ্ডল জানান, “মানুষ নিজের হাতে ভোট দেবে। জেলাতে কোনদিন ভোট লুট হয় না। সেটা আপনারা জানেন। তা না হলে এগারোটা সিটের মধ্যে একটা সিট আমি আমার ভুলের জন্য নয়, যে কোন ভুলের জন্য হেরেছি, তাছাড়া এগারোটায় পেতাম। এদিকে তিনটের তিনটেই জিততাম। আমি যেগুলো নিয়েছি সবগুলোই জিতেছি।”
এর পাশাপাশি তিনি বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন, “এখন ওরা (বিরোধীরা) যদি ক্যান্ডিডেট দিতে না পারে তাহলে বলবে ভোট লুট হয়ে গেল। বলবে ভয় দেখাল, আমাদের নমিনেশন ফাইল করতে দেয় নায়। তাই সাংবাদিক বন্ধুদের কাছে অনুরোধ করবো, ওই ধরনের ছবি যেন তুলে ধরবেন। হুমকি দেওয়া হয়েছে, নমিনেশন করতে দেওয়া হয় নাই, এই ধরনের ছবিগুলো যেন তুলে ধরেন। মুখের কথাই বিশ্বাস করবেন না।”