নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশজুড়ে এখন সম্পত্তি নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি করেছেন সুগন্ধি ব্যবসায়ী পীযূষ জৈন। তার বাড়ি থেকে গুপ্তধন উদ্ধারের প্রক্রিয়া রবিবারও অব্যাহত ছিল। কানপুর থেকে নগদ ১৮৭ কোটি টাকা উদ্ধার করার পর থেকে উদ্ধার করা হলো আরও পাঁচ কোটি টাকা নগদ। এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি যে পরিমাণ সোনা এবং নথি উদ্ধার হয়েছে তা চাঞ্চল্য তৈরি করার মতোই।
ডিজিজিআই টিম হানা দেওয়ার পর এখনো পর্যন্ত তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে এক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি। নগদ ছাড়াও এই উদ্ধার হওয়া সম্পত্তিতে রয়েছে ১২৫ কেজি সোনা, কোটি কোটি টাকার নথি। তিনি এখনও পর্যন্ত তার বাড়িতে ডিজিজিআই টিমের তল্লাশি শেষ হয়নি বলেও জানা যাচ্ছে।
কনৌজের এই ব্যবসায়ী জৈনর বাড়ির দেওয়াল থেকে খসে পড়ছে সোনা। মাটির তলা থেকে উঠে আসছে নগদ টাকার বান্ডিল। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ব্যবসায়ীর ছিপ্পট্টিতে অবস্থিত বাড়ি থেকে এই বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি তদন্তকারী দল বাজেয়াপ্ত করেছে ৫০টিরও বেশি ব্যাগে থাকা ৩৫০টি ফাইল এবং ২৭০০টি নথি।
তদন্তকারী এই দল তদন্ত করার সময় ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির দেওয়াল থেকে সোনা পাওয়ার পাশাপাশি বেডরুমে থাকা খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করেছে নগদ টাকা। খাটের নিচে পাওয়া গিয়েছে লকার। পাশাপাশি তদন্তকারী দল যে পরিমাণ চাবি উদ্ধার করেছে তার সংখ্যাটা পাঁচশোর বেশি।
তদন্তকারী দল এই এত সংখ্যক চাবি খুঁজে পেলেও কোন চাবি কোনটির তা খুঁজে বের করে তালা খুলতে কাঠ-খড় পোড়াতে হচ্ছে। শেষমেষ অনেক ক্ষেত্রে উপায় খুঁজে না পেয়ে একদল কারিগরকে ডাকা হয় তালা ভাঙ্গার জন্য। এমনকি মাটি খুঁড়ে টাকার বান্ডিল বের করার জন্য ডাকা হয় দিনমজুরও।
ইতিমধ্যেই এই বিপুল সম্পত্তির বাড়ির মধ্যে লুকিয়ে রাখা অখিলেশ যাদব ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিজিজিআই। প্রথম দিনেই এই হানা চালানোর সময় ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ১৮৭ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার হয়। এরপর আরও একটি বাড়ি এবং কারখানা থেকে নগদ উদ্ধার হয় আরও ১০ কোটি টাকা। এই বিপুলসংখ্যক সম্পত্তি উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে চোখ কপালে উঠে আয়কর এবং জিএসটি আধিকারিকদের।