ক্রেতা সেজে কয়েক লক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার উদ্ধার করলো বীরভূম পুলিশ

Laltu Mukherjee

Updated on:

লাল্টু : নেশা বাড়ছে বীরভূমে। বিভিন্ন জায়গায় যুবসমাজকে এই নেশায় আসক্ত হতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যদিকে সমাজকে নেশা মুক্ত করার জন্য পুলিশের তরফ থেকেও খামতি রাখা হচ্ছে না। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন সময় নেশাজাতীয় দ্রব্য বেচাকেনার অভিযোগে গ্রেপ্তারের ঘটনা নজরে আসছে। সেই একই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল দুবরাজপুরে।

বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পুলিশ সোমবার সন্ধ্যাবেলায় গোপন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী ক্রেতা সেজে যশপুর জঙ্গলে হানা দেয়। এই অভিযানে ফের একবার উদ্ধার হলো কয়েক লক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার। এর আগেও একাধিকবার দুবরাজপুর থানার পুলিশ এইভাবে ক্রেতা সেজে অথবা ফিল্মি কায়দায় হানা দিয়ে একের পর এক মাদক বিক্রেতাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদের থেকে এমন বহু মূল্যবান মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় যশপুর জঙ্গলে হানা দেওয়ার পর ৩ জন মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ওই তিনজন মাদক বিক্রেতা হলেন ভীম বাউরি, শেখ বাবুল ও শেখ আলিমুদ্দিন। ভীম বাউড়ির বাড়ি লোবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পলাশডাঙ্গা গ্রামে। অন্যদিকে বাকি দুজনের বাড়ি দুবরাজপুরের খোয়াজ মহম্মদপুর গ্রামে। ধৃতদের থেকে ২৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার হওয়া এই ব্রাউন সুগারের বাজার মূল্য ৫ লক্ষ টাকার বেশি বলে জানা যাচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রাউন সুগার কেনাবেচা করার পরিপ্রেক্ষিতে এই তিনজনের নামে পুলিশের কাছে আগাম খবর ছিল। সেই খবর মোতাবেক দুবরাজপুর থানার ওসি আফরোজ হোসেন এবং থানার পুলিশ কর্মীরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের হাতেনাতে ধরার জন্য ক্রেতা সেজে দুবরাজপুরের যশপুর জঙ্গলে যান। সেখানেই মেলে এই বড় সাফল্য। ধৃতদের আজ সিউড়ি আদালতে তোলা হবে।

প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগেই দুবরাজপুরের নিরাময় হাসপাতালের পিছনে থাকা জঙ্গল থেকে এই ভাবেই ২৫০ ব্রাউন সুগার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিল দুবরাজপুর থানার পুলিশ। একইভাবে দুবরাজপুর থানা এলাকা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় পুলিশ হানা দিয়ে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে কখনো গাজা, কখনো আবার অন্য কোনো নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য।