হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের চিকিৎসার ১০ নিয়ম, নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশ তথা রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা তা রীতিমতো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের। এমত অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির কিভাবে হবে চিকিৎসা, হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীরা কোন নিয়ম মেনে চলবেন এবং কিভাবে তাদের চিকিৎসা চলবে, এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক।

১) মৃদু অথবা উপসর্গহীন আক্রান্তদের সাত দিন হোম আইসোলেশনে থাকলেই হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন পর পর তিন দিন জ্বর না আসে।

২) ষাটোর্ধ্ব কো-মর্বিডিটি কোন আক্রান্তকে চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া বাড়িতে রাখা যাবে না।

৩) মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের দিনে তিনবার গরম জলের ভেপার নিতে হবে এবং গারগেল করতে হবে।

৪) দিনের সবচেয়ে বেশি চারটি প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। কিন্তু তারপরেও যদি জ্বর আসে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৫) বাড়িতে থাকা মৃদু অথবা উপসর্গহীন আক্রান্তের যিনি দেখভাল করবেন তার আবশ্যিকভাবে থাকতে হবে করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ। পাশাপাশি তাকে মেডিকেল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।

৬) পর্যাপ্ত আলো-বাতাস রয়েছে এমন ঘরেই থাকতে হবে আক্রান্ত রোগীদের।

৭) বাড়িতে থাকা আক্রান্ত ব্যক্তির N-95 ফেস মাস্ক ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। মেডিকেল ত্রিস্তরীয় মাস্ক ব্যবহার করলেই চলবে। ৮ ঘন্টা অন্তর অন্তর সেই ফেস মাস্ক বদলে দিতে হবে। আগেই ভিজে গেলে তা আগেই বদলে দিতে হবে।

৮) ব্যবহৃত ফেস মাস্ক যত্রতত্র ফেলে দেওয়া যাবে না। ব্যবহৃত ফেস মাস্ক কাঁচি দিয়ে কুচি কুচি করে কেটে পেপার ব্যাগে ৭২ ঘন্টা রাখার পর বাইরে ফেলতে হবে।

৯) হোম আইসোলেশনে থাকা আক্রান্ত ব্যক্তির দিনে দুবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন এবং পালস রেট মেপে নিতে হবে।

১০) চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া সিটিস্ক্যান করানোর কোনো প্রয়োজন নেই।