হিমাদ্রি মণ্ডল : দেশ, রাজ্য তথা জেলায় তীব্র গতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এমন অবস্থায় গত রবিবার রাজ্য সরকার একাধিক বিধি-নিষেধ সহ একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সংক্রমণের ক্ষেত্রে লাগাম টানার উদ্দেশ্য নিয়েই এই সকল বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এই বিধিনিষেধ চলবে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
রাজ্য সরকার প্রদত্ত এই নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সেলুন, সুইমিং পুল, স্পা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। আর এই নির্দেশিকার জেরেই অসুবিধার সম্মুখিন হয়ে পড়েছেন সেলুন ব্যবসায়ী অর্থাৎ ক্ষৌরকর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। দীর্ঘ দুই বছর ধরে সংক্রমণ এবং লকডাউন জারি থাকার কারণে বিভিন্ন সময় তাদের ব্যবসা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সুরাহা খুঁজতে বৃহস্পতিবার তারা বীরভূম জেলা শাসক দপ্তরে হাজির হলেন।
বৃহস্পতিবার সিউড়ি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার সেলুন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কমকরে শতাধিক মানুষ প্রথমে সিউড়ি শহরে অবস্থিত তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ে যান তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা জানাতে। কিন্তু সেখানে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়ে দেন, এই বিষয়ে তারা কোন সুরাহার পথ দেখাতে পারবেন না। কারণ এটা সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনিক বিষয়। এর পরেই তারা আসেন বীরভূম জেলা শাসক দপ্তরে এবং তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে একটি ডেপুটেশন জমা দেন।
এই সকল সেলুন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিধি নিষেধ জারি করা হলেও সব ব্যবসার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাহলে কেন সেলুন খোলার জন্য ছাড় দেওয়া হচ্ছে না? তারা জানান, গত দু’বছর ধরে তারা বিধি নিষেধ মানতে মানতে আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছেন। সিউড়ি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় ৫০০ জন সদস্য এই আর্থিক সংকটে ভুগছেন। এমত অবস্থায় যখন ব্যবসা কিছুটা হলেও ঘুরে বেড়াচ্ছিল সেই সময় ফের এমন বন্ধের নির্দেশিকা তাদের পথে বসাবে।
অন্যদিকে গতকাল অর্থাৎ বুধবার নিয়ম ভঙ্গ করে সেলুন খোলার অপরাধে বেশ কয়েকজন সেলুন ব্যবসায়ীকে আটক করে নিয়ে আসে সিউড়ি থানার পুলিশ এবং তাদের দীর্ঘক্ষণ ধরে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তারা। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে তারা এদিন একটি স্মারকলিপি জমা দেন, অল্প সময়ের জন্য হলেও যেন সেলুন খুলতে দেওয়া হয়, এই দাবি নিয়ে।