শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : হাওড়ার বালির সেই দুই গৃহবধূ আর বাড়িতে কাজ করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রির প্রেম কাহিনী এখন মুখে মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছিল দুই গৃহবধূ। বহুদিন যাবৎ তাই নিয়ে নানা টানাপোড়েন শেষে এবার সেই দুই রাজমিস্ত্রির একটাই চাওয়া ওই দুই গৃহবধূর সাথে দুজনে নতুন ভাবে সংসার শুরু করা।
সেই লক্ষ্যেই বর্তমানে আকুল হয়ে খুঁজে চলেছে ওই দুই গৃহবধূ রিয়া ও অনন্যাকে। কিন্তু এখন এত সমস্যা পেরিয়ে যখন উভয় পক্ষের মিলিত হওয়ার কথা ছিল এই মুহূর্তে উপস্থিত আবার নতুন করে সমস্যা। কোনোভাবেই ওই দুই রাজমিস্ত্রি ওই দুই গৃহবধূ অর্থাৎ তাদের প্রেমিকাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তাই তো প্রেমের টানে হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছেন দুজনে।
বালির নিশ্চিন্দার দুই গৃহবধূ অনন্যা ও রিয়া কর্মকার, বাড়িতে কাজ করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রি চন্দ্রশেখর মজুমদার ও শেখর দাসের হাত ধরে পাড়ি দিয়েছিল মুম্বই। তারপর দীর্ঘ লড়াই। পকেটে টান পড়তেই অভাবের তাড়নায় তাদের আর সংসার করা হয়ে ওঠেনি ফের ফিরে আসতে হয়েছিল বালিতে। তারপরেই পুলিশের জালে আটক পড়ে অবশেষে প্রেমের মাশুল দিতে দুই রাজমিস্ত্রিকে জেলের ঘানি পর্যন্ত টানতে হয়েছিল।
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পুলিশি জেরায় উভয় পক্ষই স্বীকার করেছিল তারা মন থেকে ভালবাসে। আর ভালোবাসা যে কোনো বাধা মানে না তাইতো তারা ভয় না পেয়েই একসাথে সংসার বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে ঘর ছেড়েছিল। অনন্যা, রিয়াও স্বীকার করেছিল তারা ওই দুই রাজমিস্ত্রির সাথেই নতুন করে সংসার শুরু করতে চায়।
কিন্তু এখন ছবিটা কিছুটা বদলে গেলো যে। ওই দুই রাজমিস্ত্রি আর কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে পারছেন না তাদের প্রেমিকাদের সাথে। আকুল হয়ে খোঁজ শুরু করেছে তারা। সমস্ত আত্মীয় স্বজন থেকে শুরু করে চেনা পরিচিতি দের থেকে খবর নিচ্ছে কিন্তু কোনো উপায় মিলছে না। সূত্রের খবর, ওই দুই গৃহবধূর ফোন পুলিশের হেফাজতে থাকার কারণে যোগাযোগ করা যাচ্ছেনা। কিন্তু বর্তমানে তারা বাপের বাড়িতে আছেন। সেই ঠিকানা সম্পূর্ণ অজানা ওই দুজনের। তাই এবার পাগল প্রেমিকের মত খুঁজে চলেছে প্রেমিকাদের। দেখা যাক, সিনেমার ন্যায় এই প্রেম কাহিনীতে প্রেমিকরা তাদের ভালোবাসা খুঁজে পায় নাকি বিচ্ছেদ ঘটে শেষ পর্যন্ত।