লাল্টু : সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে বীরভূম জেলার ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে একমাত্র দুবরাজপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করে বিজেপি। তবে এই বিধানসভা কেন্দ্রেই এবার বিজেপির বড়োসড়ো ভাঙ্গন লক্ষ্য করা গেল। মঙ্গলবার প্রথম সারির একাধিক বিজেপি নেতা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের ঘোষণা করলেন।
বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য প্রভাত চ্যাটার্জী সহ একাধিক বিজেপি নেতারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন এমনটা একপ্রকার বোঝাই যাচ্ছিল সোমবার থেকে। পৌরসভা নির্বাচনের আগে এই এলাকায় বিজেপির কমিটি তৈরি করাকে কেন্দ্র করে এই সকল নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই ক্ষোভ প্রকাশের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই দলবদলের সিদ্ধান্ত নিলেন তারা।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে প্রভাত চ্যাটার্জী দাবি করেন, তিনি এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ যতজন বিজেপির কার্যকর্তা অর্থাৎ পদাধিকারী ছিলেন তারা প্রত্যেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার। এর পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেন, ‘এটা হল প্রথম পর্যায়। পরবর্তী পর্যায়ে আরও বিশাল আকারে বিজেপি নেতাকর্মীরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন।’ যদিও কত সংখ্যক বিজেপি নেতা কর্মী এদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা অবশ্য স্পষ্ট করে জানান নি তিনি।
প্রভাত চ্যাটার্জী এর আগে ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করতেন। এরপর দলের সঙ্গে বনিবনা হওয়ার কারণে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি তৃণমূল করার পাশাপাশি দুবরাজপুর শহরের তৃণমূল শহর সভাপতি ছিলেন। দায়িত্ব এবং দক্ষতার বিচারে বিজেপি প্রভাত চ্যাটার্জিকে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য করে। তবে এসবের পর সম্প্রতি মতানৈক্যের জেরেই তিনি বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। তৃণমূলে যোগ দেওয়াকে তিনি নিজের ঘরওয়াপসি বলে দাবি করেছেন।
এর পাশাপাশি তিনি এ দিন বিজেপি-কে আক্রমণ করে বলেন, “রাজনৈতিক দল ভেবে বিজেপিতে আমাদের যোগদান করাটা সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। এটা কোন রাজনৈতিক দল নয়।” পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, ‘মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল দীর্ঘদিনের উন্নয়নের দল।’