ই-শ্রম কার্ড করিয়েছেন, এই নিয়ম না মানলে হবে বাতিল

SHARMISTHA CHATTERJEE

Published on:

শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : দেশবাসীর কথা চিন্তা করে কেন্দ্রীয় নানা প্রকার প্রকল্পের কথা আগেও সামনে এসেছে। যে সব প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশের বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। সেরকমই একটি প্রকল্প হলো ই-শ্রমিক কার্ড। যেটি তৈরি করতে পারবেন কেবলমাত্র দেশের অসংগঠিত শ্রমিকরা।

এবার এই ই-শ্রমিক কার্ড সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। ২০২১ এর সেপ্টেম্বরে এই পোর্টালটি শুরু হয়েছিল। ১৬ থেকে ৫৬ বছর পর্যন্ত বয়সীরাই কেবলমাত্র এই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। ইতিমধ্যেই যেখানে প্রায় দেশের ২০ কোটি নাম নথিভুক্ত করা রয়েছে। শ্রমিকরা তাদের নাম, ডেটা, পরিচয় নথিভুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেতে পারবেন এই প্রকল্পে।

প্রকল্পে অসংগঠিত শ্রমিকদের দেওয়া হবে একটি করে ই-শ্রম কার্ড। যার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত অসংগঠিত শ্রমিকদের একটি ডেটাবেস তৈরি করবেন। যার মাধ্যমে পরবর্তীকালে শ্রমিকরা পেতে পারেন নানাবিধ সুবিধা।

তবে নাম নথিভুক্ত করণের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম জারি রয়েছে। সেগুলি সঠিকভাবে পালন না করলে কিন্তু সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। ই-শ্রম কার্ডটিতে একটি ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া থাকবে। এই কার্ডের আওতায় যাঁরা পড়বেন তাঁরা হলেন, কৃষক, শ্রমিক, গাড়ির চালক। কিছু অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গেলে কার্ডটি বাতিল হবে। এমনকি ডেটা ভুল দেওয়া হলে জালিয়াতির পর্যন্ত অভিযোগ উঠতে পারে।

কোনো ব্যক্তি যদি ভুল বিবরণ দিয়ে থাকেন তবে তিনি কোনোভাবেই ই-শ্রম কার্ড পেতে পারবেন না। সেই কারণে প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজের পেশা, বছরে আয়, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ সঠিকভাবে না দিলেই কিন্তু বিপদ। জালিয়াতির অভিযোগে আসতে পারে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ই-শ্রম কার্ড বাতিলের সাথে সাথে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

এই কার্ডের আওতায় আরও যাঁরা অন্তর্ভুক্ত হবেন তাদের মধ্যে যে সব ব্যক্তি EPFO সদস্য হবেন না অথবা কোনো শ্রমিক যদি ভাড়া বাড়িতে থেকে থাকেন তাঁকে অসংগঠিত শ্রমিক হিসেবে ধরা হবে। রাজ্যবিমার কর্মচারীরা যাঁরা ভবিষ্যত তহবিলের অন্তর্ভুক্ত নন তাঁরাও এই ই শ্রম কার্ড পেতে পারবেন।