নতুন উন্নত প্রযুক্তির এই ধরনের কোচ পেল হাওড়া পুরুলিয়া এক্সপ্রেস

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এই সকল পদক্ষেপের অংশ হিসাবে বর্তমানে অধিকাংশ দূরপাল্লার ট্রেনের কোচের পরিবর্তন করা হচ্ছে। আগের কোচগুলিকে বদলে নতুন যে সকল কোচ লাগানো হচ্ছে সেগুলি যেমন আরামদায়ক ঠিক তেমনি সুরক্ষিত। ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। এই সকল ট্রেনের মধ্যে এবার হাওড়া পুরুলিয়া এক্সপ্রেসে লাগানো হলো নতুন উন্নত প্রযুক্তির কোচ।

Advertisements

দূরপাল্লার ট্রেনে ভারতীয় রেল মূলত দু’রকমের বগি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই দু’রকমের কোচ হলো আইসিএফ অর্থাৎ ইনটেগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি বগি এবং এলএইচবি অর্থাৎ লিঙ্কে-হফম্যান বুশ বগি। এই দু’রকমের বগির ক্ষেত্রে জার্মানি প্রযুক্তিতে তৈরি এলএইচবি বগি অনেক বেশি আরামদায়ক এবং সুরক্ষিত। এই ধরনের বগিগুলি লাল রঙের হয়ে থাকে। অন্যদিকে আইসিএফ বগিগুলি নীল রঙের হয়ে থাকে।

Advertisements

সুরক্ষা এবং আরামের কথা মাথায় রেখে ভারতে প্রচুর পরিমাণে তৈরি করা হচ্ছে এলএইচবি কোচ। এই ধরনের উন্নত প্রযুক্তির কোচগুলি প্রথম ব্যবহার করা হয় তেজস এক্সপ্রেসে। এরপর বর্তমানে এই ধরনের কোচ ব্যবহার করা শুরু হয়েছে রাজধানী এক্সপ্রেস সহ বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেনে। এরইমধ্যে চারটি ট্রেন রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। সেই চারটি ট্রেনের মধ্যে হাওড়া থেকে দীঘা তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেসের পাশাপাশি রয়েছে হাওড়া পুরুলিয়া এক্সপ্রেস।

Advertisements

দিন কয়েক আগেই উত্তরবঙ্গে ঘটে যাওয়ার রেল দুর্ঘটনা এইসকল দূরপাল্লার ট্রেনে এই অত্যাধুনিক কোচ লাগানোর পথকে আর সুগম করে। কারণ ময়নাগুড়িতে বিকানির গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোচ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই মনে করা হচ্ছে তড়িঘড়ি কোচ পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল।

ভারতীয় রেলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাওড়া পুরুলিয়া এক্সপ্রেসে যে নতুন ধরনের অত্যাধুনিক এলএইচবি কোচ লাগানো হয়েছে তা ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগ অনায়াসে সামলে নেবে। পাশাপাশি জার্মানি প্রযুক্তির এই কোচ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রেন ছুটলেও কোন ক্ষতি হবে না। পাশাপাশি এই কোচ আইসিএফ কোচের তুলনায় অনেক সুরক্ষিত।

Advertisements