নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাকালে রেশন কার্ড এবং রেশন দোকান থেকে পাওয়া রেশন সামগ্রী আমজনতার সবচেয়ে বড় সুরাহা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যখন মানুষের হাতে রোজগার কম সেই সময়ে বিনামূল্যের এই রেশন সামগ্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে এরই সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সামনে আসছে অজস্র ভুয়ো রেশন কার্ডের গল্প।
এক দেশ এক রেশন কার্ড এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় লক্ষ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ড সামনে এসেছে। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে এখন গ্রাহকদের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক বাধ্যতামূলক এবং রেশন সামগ্রী তোলার সময় প্রয়োজন বায়োমেট্রিক অথবা ওটিপি ভেরিফিকেশন।
বর্তমান এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর যে সকল জেলায় ভুয়ো রেশন কার্ড সামনে এসেছে তার মধ্যে সম্প্রতি কেবলমাত্র পূর্ব বর্ধমানেই বাতিল হল দেড় লক্ষের বেশি রেশন কার্ড। এই বিপুল সংখ্যক রেশন কার্ড বাতিল হয় মূলত উপভোক্তার মৃত্যু হয়েছে অথচ এতদিন পর্যন্ত রেশন কার্ড বাতিল করা হয়নি। সম্প্রতি আধার লিঙ্ক এবং বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরেই এমন দুর্নীতি নজরে এসেছে।
উপভোক্তার মৃত্যু হয়েছে অথচ রেশন কার্ড বাতিল করা হয়নি এবং সেই রেশন কার্ড দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রেশন সামগ্রীর সুবিধা নিচ্ছেন পরিবার, এমন অভিযোগ রাজ্যজুড়ে ভুরি ভুরি। তবে আধার লিঙ্ক এবং বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকেই এই সকল রেশন কার্ড বাতিল হতে শুরু করে।
আধিকারিকদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, এখন রেশন কার্ডের সঙ্গে যেহেতু আধার লিঙ্ক এবং বায়োমেট্রিক আবশ্যিক হয়ে দাঁড়িয়েছে তাই এমন দুনম্বরী কাজ আর সহজ নয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কেবলমাত্র পূর্ব বর্ধমানে দু’দফায় ১ লক্ষ ৬২ হাজার রেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এই সকল রেশন কার্ড বাতিল হওয়ার কারণে সরকারের কেবল এই জেলাতেই সাশ্রয় হবে মাসে সোয়া কোটি টাকা।