নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মহিলাদের জন্য মাসে মাসে হাতখরচ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার এই প্রতিশ্রুতি তাকে নির্বাচনে পুনরায় জয়যুক্ত করে সরকারের ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য তুরুপের তাস হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিশ্রুতি মত সরকারের ফিরেই তিনি এই বিষয়ে একটি প্রকল্প তৈরি করেন।
সরকারে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যে প্রকল্প শুরু করেন তার নাম দেওয়া হয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। যে প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের ২৫-৬০ বছর বয়সী প্রতিটি মহিলাকে হাতখরচ দেওয়া শুরু হয়। সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া শুরু হয়। তবে এবার এই প্রকল্পের নিয়মে আনা হলো বদল। টাকা পেতে হলে মানতে হবে সরকারের এই নির্দেশিকা।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। যে বৈঠকটি করা হয় আগামী দিনে যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি রয়েছে সেই কর্মসূচি নিয়ে। সেই বৈঠকেই মুখ্য সচিব লক্ষ্মীর ভান্ডারের নতুন নিয়ম এবং নির্দেশিকা প্রসঙ্গে জানান। জানানো হয়, এবার আবেদনকারীদের বাধ্যতামূলক ভাবে থাকতে হবে সিঙ্গেল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
গত বছর এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর কোন আবেদনকারীর যদি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকলেও তিনি এই প্রকল্পের আবেদন করে এই প্রকল্পের অংশীদার হতে পারতেন। কিন্তু সম্প্রতি নবান্নের তরফ থেকে জারি করা নির্দেশিকায় আর তা চলবে না। জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট নিয়ে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সরকারি সূত্রে।
জানা যাচ্ছে, বহু মহিলা জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের ভিত্তিতে আবেদন করেছেন। এরপর মাসে মাসে সেই টাকা ঢুকে যাওয়ার পর ওই মহিলার অজান্তেই অন্য কেউ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই প্রশাসনের তরফ থেকে এবার সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট ছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে।