নিজস্ব প্রতিবেদন : গতকাল অর্থাৎ রবিবার সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর প্রয়াত হন। তার এই প্রয়াণে শোকোস্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা দেশ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তবে তিনি চলে গেলেও তিনি সঙ্গীত জগতকে যে সকল উপহার দিয়ে গেছেন, তাতেই তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে যেমন গোটা দেশ স্তব্ধ ঠিক তেমনই শোকোস্তব্ধ বীরভূমের শান্তিনিকেতন। শান্তিনিকেতনের শোকোস্তব্ধ হয়ে পড়ার মূলে রয়েছে অন্য আরেক কারণ। কারণ ৬ ফেব্রুয়ারি যেদিন তিনি প্রয়াত হন, সেই দিনটিতেই তিনি পেয়েছিলেন বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ সম্মান দেশিকোত্তম।
১৯৯৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি লতা মঙ্গেশকর বিশ্বভারতীর আম্রকুঞ্জে নিজে উপস্থিত হয়ে হাতে তুলে নিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর এই দেশিকোত্তম সম্মান। আর এই দিনটিতেই তিনি প্রয়াত হওয়াই স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বভারতী এবং শান্তিনিকেতনের মন খারাপ আরও বেশি।
বিশ্বভারতীতে আসার পাশাপাশি লতা মঙ্গেশকর তার আগেরদিন গিয়েছিলেন সঙ্গীত জগতের আরেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শান্তিনিকেতনের বাড়িতে। যেখানে তিনি তার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে ছিলেন এবং ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, কেবলমাত্র রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে একটি অ্যালবাম তৈরি করা। যদিও সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি তারপরেই কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে।
এছাড়াও বিশ্বভারতীতে এসে দীর্ঘ সময় লতা মঙ্গেশকর সময় কাটিয়ে ছিলেন তাঁর স্মৃতি মন্থন করে তৎকালীন বিশ্বভারতীর পিআরও অমিতাভ চৌধুরী জানিয়েছেন, “খুব কাছে থেকে আমরা উনাকে দেখেছি। একেবারে সাধারণ মানুষ ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আগে শান্তিনিকেতন আসতে পারলে এবং এখানেই বড় হলে তার শিল্পসত্তা আরও বেশি বিকশিত হত।”