নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষীনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামের ভুবন বাদ্যকর। ভুবন বাদ্যকর একজন সাধারণ বাদাম বিক্রেতা। তিনি বাদাম বিক্রি করার সময় ‘কাঁচা বাদাম’ গান গাইতেন, সেই গানটি এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই গান ভাইরাল হওয়ার দৌলতেই বর্তমানে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি।
কাচা বাদাম গানের স্রষ্টা ভুবন বাদ্যকরের আসল গানটি রিমিক্স অথবা অন্যান্য বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জন তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছেন। সেই সকল গানও দারুণ ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে অন্যান্যরা এই রিমিক্স গান সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে যেভাবে রোজগার করছেন সেই জায়গায় ভুবন বাদ্যকর কিন্তু কিছুই পাচ্ছেন না। এই নিয়ে তাকে অভিযোগ করতেও দেখা গিয়েছিল। এবার তার এই অভিযোগকে একপ্রকার স্বীকৃতি দিলেন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী।
বর্তমানে কাঁচা বাদাম গান কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গ অথবা বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এই গান এখন ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা, তানজানিয়া, উত্তর কোরিয়া, আমেরিকা, ইউরোপ সহ বিভিন্ন জায়গায়। তবে এসবের পরেও হাল ফেরেনি মূল গানের স্রষ্টা ভুবন বাদ্যকরের, সেই কথাই তুলে ধরেছেন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী।
বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিশেষ অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ভুবন বাদ্যকরকে। সেখানে পুলিশের তরফ থেকে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি বিশেষ সম্মানও দেওয়া হয়।
ভুবন বাদ্যকর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে পুলিশকর্মীদের অনুরোধে তার অরিজিনাল কাঁচা বাদাম গানটি সকলের সামনে গান। কোনরকম রিমিক্স অথবা বিকৃত সুর ছাড়া এই গানটি মন জয় করে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠীর। পরে তিনি আবার সেই গান নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন।
Live performance of Bhuvan He sang famous ‘KACHA BADAM’ Song. Its tragic & sad but true that His song has got all the fame & popularity and whole world is dancing over it. But his condition is unchanged. pic.twitter.com/gDfuoVKwuu
— Nagendra Tripathi IPS (@Nagendraips) February 8, 2022
গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার পাশাপাশি নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী লিখেছেন, “ভুবন বাদ্যকরের এইগান এখন বিশ্ব মাতাচ্ছে। বিশ্বের মানুষ নাচছে এই গানে। কিন্তু দুঃখজনক ঘটনা হলো, এসবের পরেও ভুবন বাদ্যকরের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।”