নিজস্ব প্রতিবেদন : উড়ো ফোনে পুলিশকে ব্যতিব্যস্ত করার মতো ঘটনা নতুন কিছু নয়। এই ধরনের ঘটনা হামেশাই ঘটে থাকে লক্ষ্য করা যায়। পরে সেই সকল ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার অথবা আটক করেন। ঠিক তেমনই একটি উড়ো ফোনের ঘটনা ঘটেছে। তবে এই উড়ো ফোনের ঘটনা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিপদে পড়লে মানুষ পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশ ফোন পেয়ে ছুটে আসেন এবং তারা তাদের প্রচেষ্টায় অসহায় মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। পুলিশ কি সত্যিই বিপদে পড়লে কাজে লাগে কিনা তা যাচাই করতেই এক মাতাল ইমারজেন্সি নম্বরে ফোন করলেন। তারপরেই যা ঘটনা ঘটল তাতে তা রীতিমতো হাসির খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হরিয়ানার এক মদ্যপ ব্যক্তি মধ্যরাতে ইমার্জেন্সি নম্বর ১১২ তে ফোন করেন। ফোন পেয়ে পুলিশ নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছে যায়। তবে পুলিশের জানা ছিল না ওই মাতাল বিপদে পুলিশ কাজে লাগে কিনা তা যাচাই করার জন্য তাদের ফোন করেছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি জানতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ বিরক্ত হয় এবং ওই মদ্যপ ব্যক্তিকে কথায় কথায় বুঝিয়ে দেন, অকারণে ফোন করলে শাস্তি পেতে হবে।
এমন ঘটনাটি ঘটিয়েছেন পঞ্চকুলার রাইপুররানি এলাকার বাসিন্দা বছর বিয়াল্লিশের নরেশ কুমার। মদ খেয়ে হঠাৎ তার খেয়াল হয়, পুলিশ বিপদে কাজে আসে কিনা তা যাচাই করতে হবে। এর পরেই তিনি ওই নম্বরে ফোন করেন। পুলিশ ফোন পেয়ে দ্রুত রাইপুররানির তাপ্রিয়া গ্রামে হাজির হয়। তবে পুলিশ যখন ওই ব্যক্তিকে ফোন করার কারণ জিজ্ঞাসা করেন তখন ওই ব্যক্তি উত্তরে জানা যায়, তেমন কিছু ঘটেনি। বিষয়টি যাচাই করার জন্য তিনি ফোন করেছিলেন।
पीने के बाद जनता को पुलिस की याद आती है। 2 दिन से पुलिस की गाड़ी नही दिखी तो 112 पे फ़ोन मिला लिया ??. घटना पंचकूला की है ।
( PS – Police resources are already scarce , don't misuse them ?) @police_haryana @112Haryana pic.twitter.com/5aQFLhs3Aq— Pankaj Nain IPS (@ipspankajnain) February 9, 2022
পুলিশের প্রশ্ন ঐ ব্যক্তি উত্তরে মদের নেশায় এলোমেলোভাবে জানান, “সন্ধে পাঁচটার ট্রেন আসেনি। আমি রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়ে ছিলাম। কিন্তু কোনও গাড়িও দেখিনি। সেই কারণেই ফোন করে দেখছিলাম পুলিশ আদৌ কাজ করছে কিনা।” নরেশের এই উত্তরে তাজ্জব হয়ে যান পুলিশ। পাশাপাশি এই ঘটনার কথোপকথন অন্য একজন পুলিশ আধিকারিক রেকর্ডিং করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন এবং তা ভাইরাল হয়।