নিজস্ব প্রতিবেদন : সোনালী সাজপোশাক দেখেই টের পাওয়া যায় সদ্যপ্রয়াত বাপ্পি লাহিড়ী কত টাকার মালিক ছিলেন। তবে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়ার ক্ষেত্রে তার লড়াইটা কম ছিল না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এই মানুষটি এমন এক মানুষ ছিলেন যিনি দেশের সবচেয়ে বেশি করদাতাদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম।
একবার বাপ্পি লাহিড়ীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এত সোনা পরেন কেন? সেই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, এলভিস প্রিসলির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি এত সোনা পরেন। এলভিস প্রিসলি কনসার্টের সময় সোনার চেন পরতেন। এসব দেখেই তার সোনার প্রতি অনুরাগ ছিল। ঠিক করে নিয়েছিলেন, জীবনে সফলতা এনে নিজের এক আলাদা ইমেজ তৈরি করবেন। আর সেই ভাবনা চিন্তা থেকেই তার করেও দেখিয়েছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে প্রয়াত হওয়ার আগে পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বেশি করদাতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। সূত্র মারফত যে খবর জানা যাচ্ছে, সেই খবর মানলে জানা গিয়েছে তিনি মৃত্যুর আগে ২২ কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন। প্রতিবছর তাঁর আয় ছিল ২ কোটি ২ লক্ষ টাকা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার বিনিয়োগ রয়েছে ১১ কোটি ৩ লক্ষ টাকা।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় বাপ্পি লাহিড়ী যখন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হন, সেই সময় তিনি যে হলফনামা পেশ করেছিলেন তাতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন তার নিজের নামে রয়েছে ৭৫৪ গ্রাম সোনা এবং ৪.৬২ কিলো রুপো। এছাড়াও তার স্ত্রী চিত্রাণীর নামে ছিল ৯৬৭ গ্রাম সোনা এবং ৮.৯ গ্রাম রুপো। এসকল ছাড়াও শিল্পীর কাছে থাকা হীরের পরিমাণ হিসাবে সেই সময় তিনি উল্লেখ করেছিলেন চার লক্ষ টাকা।
মুম্বইয়ে বাপ্পি লাহিড়ীর যে বিশাল বাড়ি রয়েছে সেই বাড়িটি তিনি ২০০১ সালে তিন কোটি টাকার বিনিময়ে কিনে ছিলেন বলে জানা যায়। সোনার গয়না, বাড়ি ছাড়াও সদ্যপ্রয়াত প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পী বিএমডব্লিউ, অডির মত বিলাসবহুল গাড়ির মালিক। এই সকল বিপুল পরিমাণ সম্প্রতি তিনি রেখে গেলেন তার উত্তরসূরিদের জন্য আর অনুরাগীদের জন্য রেখে গেলেন এর থেকেও বেশি মহামূল্যবান গান।