নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বে যে সমস্ত বিস্ময়কর সৃষ্টি গুলি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো আইফেল টাওয়ার। তবে এবার এই আইফেল টাওয়ারকে হার মানাচ্ছে ভারতের একটি রেলওয়ে ব্রিজ। যদিও এই রেলওয়ে ব্রিজ নির্মাণের কাজ এখনো শেষ হয়নি, তবে তা একেবারে শেষের মুখে।
ভারতীয় রেলের এই বিস্ময়কর সৃষ্টি রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলওয়ে আর্চ ব্রিজটির কাজ এখন শেষের মুখে এবং তা ২০২২ সালের মধ্যেই উদ্বোধন হবে। উদ্বোধন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই রেলওয়ে ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল শুরু করবে ট্রেন। বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলওয়ে ব্রিজ দিয়ে সফল করতে পারবেন আপনিও।
এই আর্চ ব্রিজটি তৈরি হচ্ছে চেনাব নদীর উপর। এই ব্রিজটির উচ্চতা ৩৫৯ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ১,৩১৫ মিটার। মেঘের উপর দিয়ে চলে গিয়েছে এই ব্রিজ। মেঘের উপর খিলান আকৃতির এই ব্রিজ এবং তার কৌশল বিস্ময়ের থেকে কম নয়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই ব্রিজের উচ্চতা ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের তুলনায় ৩৫ মিটার বেশি। পাশাপাশি এই ব্রিজের উচ্চতা চীনের চিনের বেপান নদীর ওপর নির্মিত ডুগ সেতুর উচ্চতার চেয়েও বেশি।
সম্প্রতি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই বিস্ময়কর সেতুর বেশ কয়েকটি ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছেন। ছবি আপলোড করার পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, ‘চেনাব সেতু, মেঘের উপরে বিশ্বের সর্বোচ্চ খিলান।’ আসলে এই সেতুর উচ্চতা এতটাই বেশি যে এটি মেঘের উপর দিয়ে যাচ্ছে।
ভারতের এমন বিস্ময়কর রেলসেতুর যে সকল বৈশিষ্ট্য রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো, এমনভাবে এই রেল সেতু তৈরি করা হয়েছে যাতে এর উপর দিয়ে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেন ছুটতে পারে। পাশাপাশি এর মূল উদ্দেশ্য হলো কাশ্মীর উপত্যকার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা। চেনাব নদীর উপর যেখানে এই সেতু তৈরি করা হয়েছে সেখানকার মাটি বেশ কাঁচা। কাঁচা মাটি এবং পাহাড়ের উপর এমন উচ্চতম ব্রিজ তৈরি ভারতীয় রেলের কাছে বিস্ময় সৃষ্টি। এই সেতু এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে -১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও এর উপর কোন প্রভাব পড়বে না।
The world's highest #arch #ChenabBridge over the clouds. pic.twitter.com/0fkKFc4Nte
— Ashwini Vaishnaw (@AshwiniVaishnaw) February 7, 2022
এর পাশাপাশি এই ব্রিজের বৈশিষ্ট্য হলো, ঘন্টায় ২৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইলেও এই ব্রিজটি তা অতি সহজেই সহ্য করে নেবে। এর পাশাপাশি যেকোনো ধরনের হামলা এই ব্রীজ অতি সহজেই সামলে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। সেতুটির এক পাশের পিলারের উচ্চতা ১৩১ মিটার। পর্যটকদের জন্য এই সেতু খুব তাড়াতাড়ি খুলে যাবে।