নিজস্ব প্রতিবেদন : এশিয়ার বৃহত্তম কয়লা খনি প্রকল্প নিয়ে পক্ষে এবং বিরোধিতায় সরগরম বীরভূম। এই পক্ষে ও বিরোধিতা নিয়ে যখন সরগরম পরিস্থিতি, সেই সময় সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্যাকেজ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা অনুযায়ী এবার আরও বেশি ক্ষতিপূরণ পাবেন জমিদাতারা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, “দীর্ঘদিন বাদে রাজ্যে এত বড় একটা কাজ হচ্ছে। লক্ষাধিক চাকরি হবে। এই প্রজেক্টটি কার্যত ৫ রাজ্যের সঙ্গে লড়াই করে আমরা ছিনিয়ে এনেছি। কোনও দখলদারি করছি না। গরিবদের বঞ্চিত করে কিছু করি না। কিছু খাদান মালিক আছে, তারা ভুল বোঝাচ্ছে। টাকা দিয়ে তারা কিছু লোককে কিনে নিচ্ছে। তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ আছে। জমির দামের চেয়ে দ্বিগুণ দাম দেওয়া হচ্ছে। চাকরি দেওয়া হচ্ছে।”
পাশাপাশি এখানে কয়লা খনি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আগামী ১০০ বছর বিদ্যুৎ নিয়ে কোনো ভাবনা চিন্তা করতে হবে না বলেও দাবি করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ডেউচা পাচামি কয়লা ব্লক তৈরি হলে আগামী ১০০ বছর বিদ্যুতের কোনও সমস্যা হবে না। এই প্রকল্পের জন্য যাতে পরিবেশের কোনও ক্ষতি না হয়, সেই দিকেও সতর্ক প্রশাসন।”
এর পরেই তিনি প্যাকেজ নিয়ে ঘোষণা করেন। প্যাকেজ সংস্করণ করার পর তিনি জানান, “জমির দামের চেয়ে দ্বিগুণ দাম দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা জমি দিয়েছেন, তাঁদের প্রথমে ৬০০ স্কোয়ারফিটের উপর বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এখন ঠিক হয়েছে, ৭০০ স্কোয়ারফিট জমির উপর বাড়ি বানানোর টাকা দেব। তাঁরা নিজেরা বাড়ি তৈরি করে নেবেন।”
আর্থিক সহায়তা প্রসঙ্গে বলেন, “এছাড়া আর্থিক সহায়তা মূল্য ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। জমিদাতাদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ড, কনস্টেবলের চাকরি দেওয়া হবে। এছাড়া যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাবেন সকলে। খাদান মালিকদের জন্যও নির্দিষ্ট প্যাকেজ রয়েছে। আজকের ক্যাবিনেট বৈঠকে সব অনুমোদন দেওয়া হল।”