নিজস্ব প্রতিবেদন : গতবছর বাজেট অধিবেশন চলাকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন, দেশের অন্যতম বিশ্বাসযোগ্য জীবনবীমা সংস্থা এলআইসির শেয়ার বাজারে আনা হবে। এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রের কোষাগার পরিপূর্ণ করার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়। সম্প্রতি যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে করা হচ্ছে মার্চ মাসের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে এলআইসির আইপিও। এই আইপিওর দিকে অনেকের ঝোঁক রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই মনে করছেন এই আইপিও ভাগ্য বদলে দিতে পারে লগ্নিকারীদের।
এলআইসির এই আইপিওর ক্ষেত্রে মোট ৩১৬,২৪৯,৮৮৫ ইকুইটি শেয়ার অফার করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই সংস্থার শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে দুই ধরনের রিজার্ভেশন অর্থাৎ সংরক্ষণ রাখা হচ্ছে। এক ধরনের সংরক্ষণ থাকছে এম্প্লয় অর্থাৎ কর্মীদের জন্য এবং আর এক ধরনের সংরক্ষণ থাকছে পলিসি হোল্ডারের জন্য।
এলআইসি সংস্থার কর্মীদের জন্য সংরক্ষণ রাখা হয়েছে ৫ শতাংশ। এছাড়াও পলিসি হোল্ডারদের ক্ষেত্রে প্রতি শেয়ার ফেস ভ্যালু ১০ টাকা। ন্যূনতম একটি শেয়ারের ক্ষেত্রেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে। সাধারণভাবে যারা এই সকল সংরক্ষণের আওতায় আসবেন তাদের বিড অ্যামাউন্ট দু’লক্ষ টাকার বেশি হবে না। পাশাপাশি থাকতে হবে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট। এখানে কোন লক ইন থাকছে না। অ্যালটমেন্ট হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হয়ে যাবে।
স্বামী এবং স্ত্রী দুজনের নামে পলিসি থাকলে জয়েন্ট বিডার হিসাবে প্রথমজনকে এলিজেবল হতে হবে। পাশাপাশি প্রথম আবেদনকারীর এলআইসি পলিসির সঙ্গে প্যান নম্বর আপডেট থাকতে হবে। ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রেও যেন প্রথম নাম প্রথম এলিজেবল ব্যক্তির হয়।