পার্থ দাস ও হিমাদ্রি মণ্ডল : সমস্ত রকম আশঙ্কাকে সত্যি করে বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে যুদ্ধ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার ভোররাতে ইউক্রেনে সেনা অভিযানের নির্দেশ দেন। এই অভিযানের নির্দেশের পর থেকেই একের পর এক হানা নেমে আসে ইউক্রেনের উপর।
ইতিমধ্যেই শতাধিক সেনা এবং সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে এই পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে রাতের ঘুম উড়েছে বীরভূমের সিউড়ির ডাক্তারি পড়ুয়ার পরিবারের। কারণ সিউড়ির ওই ডাক্তারি পড়ুয়া শাহরুখ সুলতান আহমেদ ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়ছেন। ২৪ বছর বয়সী এক যুবক ২০১৬ সাল থেকে ইউক্রেনের কিয়েভ মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন।
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা চলার পর থেকেই সেখানে অসম্ভব রকমের আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির কথায় তিনি তাঁর পরিবারকে জানিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছেন তার বাবা আফতাব উদ্দিন আহমেদ।
আফতাব উদ্দিন আহমেদের কথা অনুযায়ী, তারা বন্ধুরা একত্রিত হয়ে একটি জায়গায় রয়েছেন। পরিকল্পনা চলছে একটি রুটম্যাপ তৈরি করে সেই দেশ থেকে অন্য দেশে এবং তারপর ভারতে ফিরে আসার। কিন্তু সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ এই মুহূর্তে এখন ইউক্রেনের রাস্তায় গাড়ির চাকা ঘুরছে না। সবাই চাইছেন একসঙ্গে দেশ ছাড়ার। স্বাভাবিকভাবেই জ্যাম তৈরি হয়েছে গোটা দেশজুড়ে। এর পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া এবং টাকাপয়সা নিয়েও চিন্তা শুরু হয়েছে। কারণ সেখানে এখন এটিএম পরিশেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান এই পরিস্থিতিতে বীরভূমের সিউড়ির এই ডাক্তারি পড়ুয়া বাবা এবং তার পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, ভারত সরকার যে কোনোভাবেই হোক না কেন তাদের ছেলেকে এবং সেখানে আর যারা রয়েছেন তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার।