নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামী রবিবার রয়েছে বীরভূমের পাঁচটি পৌরসভার নির্বাচন। ইতিমধ্যেই এই পৌরসভা নির্বাচনে সিউড়ি, সাঁইথিয়া পৌরসভা নিজেদের দখলে নিয়ে ফেলেছে শাসকদল তৃণমূল। নতুন এই দুই পৌরসভায় অধিকাংশ বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার পরিপ্রেক্ষিতে দখলে এসেছে তাদের।
অন্যদিকে এই দুই পৌরসভা ছাড়াও বীরভূমের দুবরাজপুর পৌরসভার পাঁচটি, বোলপুরের দশটি এবং রামপুরহাটের পাঁচটি ওয়ার্ড বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল। বাকি ওয়ার্ডগুলিতে ভোট রবিবার। রবিবার ভোট হওয়ার দরুণ শুক্রবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত রয়েছে প্রচারের শেষ সময়। এই শেষ সময়ের প্রচারে রামপুরহাটে এলেন রাজ্যের সবচেয়ে গরিব বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি।
শুক্রবার তিনি ভোট খুঁজতে রামপুরহাটের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়ান ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী রেশমি দে’র প্রচারে। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এদিন বাড়ি বাড়ি ঘুরতে দেখা যায় তাকে। এলাকা ঘুরে পরিদর্শন করার পর তিনি জানান, এই ওয়ার্ডে রেশমি দিয়ে জয়লাভ করবেন নিশ্চিত। কারণ হিসেবে তিনি ওই ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীর জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করেন।
চন্দনা বাউড়ি জানান, “দিদির (রেশমি দে) এখানে খুব জনপ্রিয়তা রয়েছে। খুব ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে এলাকার মানুষদের থেকে। আমি এখানে এসে যেটা বুঝতে পারলাম তাতে এই ওয়ার্ড থেকে দিদি জিতছেন তা নিশ্চিত।”
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, গত আসানসোল পৌর নিগম নির্বাচনে ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী তারকনাথ ধীবরের হয়ে প্রচার করেছিলেন বাঁকুড়ার শালতোড়া এই বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। সেই নির্বাচনে লক্ষ্য করা যায় বিজেপির এই প্রার্থী কড়া প্রতিদ্বন্দিতায় ৫ ভোটে জয়যুক্ত হয়েছে চালক থেকে কাউন্সিলর হন। এখন সেই ম্যাজিক রামপুরহাটেও কাজ করে কিনা তাই দেখার।