নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয়দের কাছে গণপরিবহনের অন্যতম মাধ্যম হলো রেল পরিষেবা। তবে যখন দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে সেই সময় এই রেল পরিষেবাকে মুখ থুবড়ে পড়তে দেখা যায়। পরে পুনরায় এই পরিষেবা চালু হলেও একাধিক বিধি-নিষেধ এবং নিয়মকানুন জারি করা হয়।
বর্তমানে করোনার কঠিন পরিস্থিতি পার করেছে দেশ। তবে দেশ এই কঠিন পরিস্থিতি পার করলেও করোনাকালে যে সকল বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল ট্রেন পরিষেবা ক্ষেত্রে সেই সকল বিধিনিষেধ এখনো রয়ে গেছে। একইভাবে এখনো সংরক্ষিত টিকিট অর্থাৎ রিজার্ভেশন টিকিট কাটার ক্ষেত্রে যাত্রীদের কোভিড কালের নিয়ম মেনেই চলতে হচ্ছে।
করোনাকালে রিজার্ভেশন টিকিট কাটার সময় গন্তব্যের ঠিকানা এবং পিন কোড দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছিল। এই নিয়ম চালু করা হয়েছিল মূলত ট্রেন সফরের সময় যাত্রীদের কেউ অথবা তার পাশের কেউ করোনা আক্রান্ত ধরা পড়লে যেন তাকে এবং তার পার্শ্ববর্তী যাত্রীদের সহজে খুঁজে বের করা যায়। এই নিয়ম এখনো চালু রেখে দেওয়ার কারণেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
বর্তমানে সমস্ত কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই রেল পরিষেবার ওপর চাপ বাড়ছে। এমত অবস্থায় যাত্রীদের রিজার্ভেশন টিকিট কাটার সময় এই সকল তথ্য দেওয়া এবং তথ্যের ভিত্তিতে টিকিট বুকিং করার ক্ষেত্রে অনেকটা সময় নষ্ট হচ্ছে। এমনকি রিজার্ভেশন ক্লার্করাও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ছেন।
মূলত এখন রেল পরিষেবার ওপর চাপ বৃদ্ধি পাওয়া এবং এই সকল একাধিক তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা সময় অতিবাহিত হওয়ার ফলে রিজার্ভেশন টিকিট বুকিংয়ে দীর্ঘ লাইন পড়তে দেখা যাচ্ছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে আরও বড় সমস্যা হল, দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করার ফলে বহু যাত্রী তার প্রয়োজনীয় রিজার্ভেশন টিকিট পাচ্ছেন না। তবে এসবের পরে রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রেল বোর্ডে এই নিয়ম জারি করেছে সুতরাং তারা এই নিয়ম না তোলা পর্যন্ত এই ভাবেই চলতে হবে।