নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা। এই যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সমানতালে গুণিতক আকারে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। গাড়ির ধোঁয়ায় প্রতিনিয়ত এই পরিবেশ দূষণ বৃদ্ধি এখন মানুষের অস্তিত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরিবেশ দূষণ রোধ করতে কেন্দ্রের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি রাজ্য নানান ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। কোন কোন রাজ্য পেট্রোল ডিজেল চালিত যানবাহনের পরিবর্তে ব্যাটারি চালিত যানবাহন বৃদ্ধির দিকে নজর দিচ্ছে। আবার কোন কোন রাজ্য সিএনজি চালিত যানবাহন বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে শুরু করেছে। ঠিক একই পথে এবার হাঁটলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করা হয়। রাজ্যের প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রী হিসেবে এই বাজেট পেশ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেটে রাজ্যের মহিলাদের বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধি ঘোষণার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব গাড়ির জন্য বিশেষ উপহারের ঘোষণা করলেন তিনি। এই ঘোষণার মাধ্যমে দু’বছরের জন্য রোড ট্যাক্স ছাড় এবং রেজিস্ট্রেশন ফি মুকুবের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
শুক্রবার রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করার সময় জানান, সিএনজিচালিত যানবাহনের জন্য দু’বছরের রোড ট্যাক্স মুকুব করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি তিনি জানান রেজিস্ট্রেশন ফি-ও মুকুব করা হবে সিএনজিচালিত যানবাহনের জন্য।
পরিবেশ দূষণের নিরিখে এখন দিল্লিকে যেকোনো সময় টেক্কা দিতে পারে কলকাতা। এই পরিপ্রেক্ষিতে এখনই এই দূষণ লাগাম টানা নাহলে ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমতো অবস্থায় সিএনজি চালিত যানবাহনের দিকে যাতে মানুষের ঝোঁক বৃদ্ধি পায় তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রস্তাব সদর্থক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
