স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাধ্যমিকে বসে বিপত্তি, অ্যাসিডে পুড়লো শরীর

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বামী বারংবার বারণ করেছিলেন পরীক্ষা (মাধ্যমিক) দিতে হবে না। কিন্তু স্বামীর সেই বারণ না শুনেই পরীক্ষায় বসে এক পরীক্ষার্থী। আর এর মাশুল দিতে হলো অ্যাসিড হামলায়। অ্যাসিড হামলায় মুখ-হাত পুড়ে এখন ওই পরীক্ষার্থী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

Advertisements

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ওপর এমন এসিড হামলার ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি থানার অন্তর্গত নলহাটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে। অ্যাসিড হামলার শিকার হওয়া ওই পরীক্ষার্থী হলেন হীরা বানু খাতুন। তার গায়ে এইভাবে অ্যাসিড ছুঁড়ে দেন তার স্বামী রাজেশ শেখ।

Advertisements

গত দু’বছর আগে নলহাটি থানার অন্তর্গত গোপালপুরের হীরা বানু খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় সর্ধা গ্রামের রাজেশ শেখের। হীরা বানু খাতুন নলহাটির আটগ্রাম হাই স্কুলের পড়ুয়া। তাদের এই মুহূর্তে তিন মাসের এক সন্তান রয়েছে।

Advertisements

হীরা বানু খাতুন মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কয়েকদিন ধরেই তার বাপের বাড়িতে ছিল। তবে তার স্বামী বারংবার তাকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে বারণ করে এবং শ্বশুর বাড়িতে আসতে বলে। কিন্তু হীরা বানু খাতুন এবং তার পরিবারের সদস্যরা রাজেশকে জানায়, যেহেতু এতদিন ধরে পড়াশোনা করেছে তাই পরীক্ষাটা দিয়ে দিক। এরপর সব পরীক্ষাগুলি দিলেও শেষ দিনে এমন ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার যখন ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ভৌত বিজ্ঞান পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তার পরীক্ষা কেন্দ্র নলহাটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল সেই সময় সেখানে পৌঁছায় রাজেশ। সেখানেই তাদের দু’জনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়া যখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি নেই সেই সময় রাজেশ বোতল থেকে অ্যাসিড বের করে ছুঁড়ে দেয় হীরা বানু খাতুনের গায়ে। সঙ্গে সঙ্গেই ওই পরীক্ষার্থীর মুখ এবং হাত পুড়ে যায়।

ওই পরীক্ষার্থী চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং পাশেই থাকা পুলিশ ছুটে আসেন। পাশাপাশি স্থানীয়রা এবং পুলিশ অভিযুক্ত রাজেশকে তারা করে ধরে ফেলেন। হীরা বানু খাতুনকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় নলহাটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং সেখান থেকে পাঠানো হয় রামপুরহাট গভরমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।

Advertisements