নিজস্ব প্রতিবেদন : রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ড নিয়ে এবার তৃণমূলের দুই নেতার যুযুধান। এই কাণ্ড নিয়ে শুক্রবার কুণাল ঘোষকে অনুব্রত মণ্ডল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কুনাল ঘোষ বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল বড় নেতা। বেশি বোঝেন। ওঁর কোনও কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমি কোনও মন্তব্য করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।”
রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে ঘটনার পরেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন অনুব্রত মণ্ডল। তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই তাকে এমন বীভৎস ঘটনা ঘটে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, টিভি ফেটে শর্ট-সার্কিট হয়ে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অনুব্রত মণ্ডলের সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই আরও বেশি বিতর্ক দানা বাঁধে। শাসক দলকে একের পর এক নিশানায় বিঁধতে শুরু করেন বিরোধীরা। অনুব্রত মণ্ডলের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে শাসক দল।
অন্যদিকে কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের পর অনুব্রত মণ্ডলকে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি তো প্রথমে কুণাল ঘোষকে চিনতেই পারেনি। কপালে ভাঁজ ফেলে বলেন, ‘কোন কুণাল ঘোষ?’ কুনাল ঘোষ ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য স্তরের একজন প্রথম সারির নেতা। শুধু নেতা নয় এর পাশাপাশি তিনি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র। এই কুনাল ঘোষকেই দলের অবস্থান সম্পর্কে জানাতে বারংবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে লক্ষ্য করা যায়। এহেন নেতার নাম শুনে অনুব্রত মণ্ডল এমন অভিব্যক্তি করেন যেন তিনি তাকে চেনেনই না।
অবশ্য এর পর সেকেন্ড খানেকের মধ্যে চিনতে পেরে তিনি সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা করেন, ‘কি বলেছে?’ এরপর কুণাল ঘোষের মন্তব্য শুনে অনুব্রত মণ্ডল জানান, “কুনাল ঘোষ কি বলেছে সেটা আমি বলতে রাজি নই। আমার বক্তব্য হচ্ছে যে তোমার মমতা ব্যানার্জি যা যা করবো বলেছে সবই পাবে এবং কোর্টকে অসম্মান করি না। কোর্টকে আমরা সম্মান দিই।”
দোষীদের শাস্তি পাওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “আরে ভাই অ্যারেস্ট হয়েছে তো। বাদবাকিরা অ্যারেস্ট হয়ে যাবে। কালকেই তো ভাদু শেখের শালাকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে।”