নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান সময়ে দেশের অধিকাংশ মানুষেরই রয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। অনেকের ক্ষেত্রে আবার লক্ষ্য করা যায় এই সকল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা একাধিক। তবে এমন একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে এই সকল একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যারা সঠিকভাবে ব্যবহার করেন না তারা কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
১) প্রথম সমস্যা হল একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলে প্রতিটিতে আলাদা আলাদা করে ব্যালেন্স রাখতে হবে। প্রতিটিতে ন্যূনতম ব্যালেন্স মেন্টেন করতে হবে। ন্যূনতম ব্যালেন্স মেনটেন করা না হলে ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুসারে গুনতে হবে ফাইন।
২) যে সকল ব্যক্তিদের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং সেগুলি মেন্টেন করেন না, সেক্ষেত্রে তাদের যেমন জরিমানা গুনতে হয় ঠিক তেমনি আরও বড় ক্ষতি হলো লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে। কারণ এই সকল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স মেনটেন না হওয়া মানে শুধু জরিমানা নয়। এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই গ্রাহকের সিভিল স্কোর বা ক্রেডিট স্কোর।
৩) এর পাশাপাশি যখন কোনো গ্রাহক আয়কর রিটার্ন জমা দেন সেই সময় তাকে তার প্রতিটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং আইএফসি কোড জমা দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে সমস্ত তথ্য একত্রিত করতে সমস্যা হয় এবং বহু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের কর চাপতে পারে। এর পাশাপাশি আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বহু প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারেন ওই গ্রাহক। পাশাপাশি কপাল খারাপ থাকলে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার পর নোটিশও মিলতে পারে।
৪) এর পাশাপাশি কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট টানা ১২ মাস ব্যবহৃত না হলে সেই অ্যাকাউন্ট অস্থায়ীভাবে ইন্যাক্টিভ করে দেওয়া হয়। পরে আরও মাস যদি সেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহৃত না হয় তাহলে তা ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট হিসেবে পরিণত হয়। এই ধরনের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আর্থিক দুর্নীতি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, কোন ব্যক্তি দুই বা তিন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করুন। কিন্তু এর থেকেও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার না করাই ভালো। আর যদি বা এমনটা হয়ে থাকে, তাহলে যেন তারা তাদের অব্যবহৃত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে বন্ধ করে দেন।