নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সপ্তাহের সোমবার বীরভূমের রামপুরহাট থানার অন্তর্গত বগটুই গ্রামে ঘটে যাওয়া গণহত্যার পর জল অনেক দূর গড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের মামলায় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আগেই গ্রেপ্তার হন আনারুল হোসেন।
গ্রেপ্তার হওয়ার আগে পর্যন্ত আনারুল হোসেন ছিলেন রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি। তাকেই এই গণহত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। আর এই মূল অভিযুক্তকে নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। একজন অন্যজনের ঘাড়ে দোষ ঠেলে যেন নিজে বাঁচার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন!
আনারুল হোসেনকে নিয়ে দু’দিন আগেই একটি চিঠি ফাঁস হয়। যে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, রামপুরহাটের বিধায়ক আশীষ ব্যানার্জি অনুব্রত মণ্ডলের কাছে চিঠি লিখে আনারুল হোসেনকে ব্লক সভাপতি হিসাবে রাখার অনুরোধ জানান। কারণ সেই সময় নাকি অনুব্রত মণ্ডল আনারুল হোসেনকে ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরাতে চেয়েছিলেন।
এই চিঠির পর এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে আরেকটি তৃণমূল কংগ্রেসের অফিশিয়াল চিঠি ভাইরাল হয়েছে। যে চিঠিতে রয়েছে, সদ্যসমাপ্ত হওয়া রামপুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের জন্য যে কমিটি তৈরি করা হয়েছিল তার উল্লেখ। সেখানে সদস্যদের নামের তালিকায় লক্ষ্য করা গিয়েছে সবার ওপরে রয়েছে আনারুল হোসেনের নাম। আর এই কমিটির সম্মতি দিয়ে নিচে রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের সই।
বৃহস্পতিবার আনারুলকে নিয়ে আশীষ ব্যানার্জির অনুরোধ করা চিঠি ফাঁসের পাল্টা শুক্রবার তৃণমূলের লেটার হেডে লেখা রামপুরহাট পুর নির্বাচন পরিচালন কমিটির ঘোষণাপত্র ফাঁস বলে দিচ্ছে না, ‘এই দুই শিবির গা ছেড়ে বাঁচতে চাইছেন’। অন্ততপক্ষে ওয়াকিবহাল মহলের মন্তব্য এমনটাই।
যদিও এই তথ্যকে ভুল তথ্য বলে দাবি করেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি দাবি করেছেন, আশিস ব্যানার্জীর নির্দেশেই তিনি আনারুলকে ব্লক সভাপতি হিসাবে রেখেছিলেন এবং ব্লক সভাপতি থাকার কারণেই তাকে রামপুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের কমিটির সদস্য হিসাবে প্রথমেই রাখা হয়েছিল।