রায়হান রেজা : দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর স্তব্ধ হয়ে যায় গণপরিবহনের মেরুদন্ড রেল পরিষেবা। পরে সংক্রমণ কম হতে শুরু করলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে রেল পরিষেবা। তবে এরই মাঝে একাধিকবার করোনার নতুন নতুন ঢেউ আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফের ধাক্কা খেতে শুরু করে রেল পরিষেবা।
সম্প্রতি দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সংক্রমণ তলানীতে ঠেকে যাওয়াই সব ক্ষেত্র এখন স্বাভাবিক। একইভাবে পশ্চিমবঙ্গের স্বাভাবিক হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা, প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা সহ অন্যান্য দূরপাল্লার ট্রেন পরিষেবা। বিভিন্ন রুটে এইসকল পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও গুরুত্বপূর্ণ একটি এক্সপ্রেস ট্রেন দীর্ঘ দু’বছর ধরে বন্ধ ছিল। অবশেষে সেই এক্সপ্রেস ট্রেনের চাকাও গড়াতে শুরু করলো।
যে এক্সপ্রেস ট্রেনটির কথা বলা হচ্ছে সেই ট্রেনটি হল হাওড়া জয়নগর এবং জয়নগর হাওড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেন। এই এক্সপ্রেস ট্রেনটির গুরুত্ব রয়েছে অন্য জায়গায়। কারণ এই এক্সপ্রেস ট্রেনের উপর নির্ভরশীল বীরভূমের প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা। এই ট্রেনটি চালু হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছেন তারা।
হাওড়া জয়নগর এবং জয়নগর হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি বীরভূমের ওপর দিয়ে যাতায়াত করে রামপুরহাট সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে। এই লুপ লাইনে যাতায়াত করার সময় ট্রেনটি স্টপেজ দেয় রামপুরহাট, নলহাটি, মুরারই, রাজগ্রাম সহ বিভিন্ন স্টেশনে। ফলে এই ট্রেনের ওপর নির্ভরশীল নলহাটি, মুরারই, রাজগ্রাম এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরেই তারা এই ট্রেনটি পুনরায় চালু করার দাবি জানাচ্ছিলেন। সেই সকল দাবি-দাওয়া অনুসারে গত সোমবার থেকে ট্রেনটি পুনরায় যাতায়াত শুরু করে।
বর্তমানে এই ট্রেনটি সোমবার হাওড়া থেকে ছাড়বে সকাল ১১:০৫ মিনিটে এবং জয়নগর পৌঁছাবে রাত্রি ৯:২০ মিনিটে। মঙ্গলবার ট্রেনটি পুনরায় জয়নগর থেকে ছাড়বে রাত্রি ৭:৪৭ মিনিটে এবং পরদিন হাওড়া পৌঁছাবে সকাল ১১:১৫ মিনিটে। তবে এই ট্রেনটি আগে প্রতিদিন এই রুটে যাতায়াত করতো। কিন্তু এখন সপ্তাহে একদিন যাওয়া এবং একদিন আসার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেন চালু হলেও খুব একটা খুশি নন এলাকার বাসিন্দারা।