নিজস্ব প্রতিবেদন : দফায় দফায় বিভিন্ন কাণ্ডে সিবিআইয়ের ডাক পেয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তবে প্রতি ক্ষেত্রেই তিনি সিবিআইয়ের সেই তলব এড়িয়ে গিয়েছেন হয় শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অথবা আদালতের রক্ষাকবচ পেয়ে। কিন্তু এবার আর আদালতের রক্ষাকবচ তিনি পেলেন না।
কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চ ঘুরেও যখন রক্ষাকবচ পাননি তখন তাকে গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতেই হবে। আজ অর্থাৎ ৬ এপ্রিল রয়েছে সেই হাজিরার দিন। এখানেই কৌতূহল, তাহলে কি করবেন দাদা! আজই কি নিজাম প্যালেসে ছুটবেন! কারণ ইতিমধ্যেই তিনি পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতায়।
মঙ্গলবার বোলপুর থেকে বেরিয়ে তিনি প্রথমে আসানসোলে পৌঁছে যান এবং সেখানে ভোট প্রচার করে পরে পৌঁছান কলকাতায়। এরপর তিনি ওঠেন কলকাতায় নিজের চিনারপার্ক ফ্ল্যাটে। তবে তার কলকাতা আসা নিয়ে ধন্দ তো রয়ে গিয়েছেই। কি কারণে তিনি কলকাতায় এসেছেন তা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দলের কোনো কাজে, নাকি শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা, না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবে!
গরু পাচারকারী অনুব্রত মণ্ডলকে এর আগে চারবার তলব করে সিবিআই। তবে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তিনি শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে সেই তলব এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি তলব এড়ালেও তার এক দেহরক্ষীকে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এমনকি গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ঘন্টা তিনেক জেরা করা হয় তার এক নিরাপত্তারক্ষীকে। তবে আজ কি করবেন বীরভূমের এই তৃণমূল নেতা তা নিয়েই সকাল থেকে সরগরম গোটা বাংলা।
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে প্রথম সিঙ্গেল বেঞ্চে আবেদন করেন। গত ১১ মার্চ সেই আর্জি খারিজ করে দেন বিচারক রাজাশেখর মান্থারা। এরপর সিঙ্গেল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ১৪ মার্চ ডিভিশন বেঞ্চে জানান অনুব্রত মণ্ডল। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে ১৬ মার্চ এই মামলার শুনানি হয়। এরপর রায়দান হয় ২৯ মার্চ এবং সেই রায়দানে জানিয়ে দেওয়া হয়, সিবিআই ডাকলে হাজির হতেই হবে অনুব্রত মণ্ডলকে।