নিজস্ব প্রতিবেদন : বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে তার স্বামী মনোজিৎ মন্ডলের বিরুদ্ধে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ এনেছিলেন। সেই অভিযোগ আনার পাশাপাশি তিনি জোর করে সম্পর্ক ধরে রাখার বিরুদ্ধে কথা বলে বিবাহবিচ্ছেদ মামলার কথা জানিয়েছিলেন।
বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার কথা জানানোর পাশাপাশি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মনোজিৎ মন্ডল আলিপুর আদালত মিউচুয়াল ডিভোর্সের আবেদন করেন। মামলা চলাকালীন একাধিকবার দুই পক্ষের কথা শোনেন বিচারক এবং বুধবার ছিল এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি। চূড়ান্ত শুনানিতে আদালত মিউচুয়াল ডিভোর্সের পক্ষেই রায় দেয়।
ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিউচুয়াল ডিভোর্স হতেই শোভন চ্যাটার্জি জানান, ‘মুক্তির স্বাদ পেল বৈশাখী।’ এর পাশাপাশি তিনি নিজেও মুক্তির স্বাদ পেতে চান বলে জানিয়েছেন। আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে শোভন চ্যাটার্জি বলেন, “আমার বৈশাখীর সঙ্গে যতদিন ধরে পরিচয় আমি ওর লড়াইটা দেখেছি। সেখান থেকে আজ একটা পর্যায়ে মুক্তির স্বাদ পেয়েছে। আমিও সেই মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছি। আমি জানি বহু চক্রান্ত, অসত্য পরিবেশন করা হয়েছে। আজও দেখলাম, অন্যান্য সময়ও দেখেছি।”
এর পাশাপাশি তিনি আরও জানান, “কিন্তু একটা কথা আমি আবারও বলব, আমি যেখানে বুক দেখাই সেখানে পিঠ দেখাই না। সমস্ত বিষয়ে দায়িত্ব নিতে, দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে আমি কোনওদিন পিছু পা হইনি। অসত্যের কাছে, বিভিন্ন জায়গায় দ্বিচারিতার কাছে আমি নতি স্বীকার করি না। বিশ্বাসযোগ্যতা যাদের নেই, তাদের সঙ্গে আমি কখনওই আপোস করি না।”
অন্যদিকে বৈশাখীর ডিভোর্সের পর শোভন চ্যাটার্জিও ডিভোর্সের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু রত্না চ্যাটার্জীর স্পষ্ট বার্তা, সন্তানদের কথা মাথায় রেখে ডিভোর্সের পথে হাঁটবেন না। আবার রত্না চ্যাটার্জীর সঙ্গে শোভন চ্যাটার্জি থাকতে নারাজ। আর এই নিয়েই হামেশাই তাদের দুজনের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি লক্ষ্য করা যায়।
অন্যদিকে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বৈশাখীর মিউচুয়াল ডিভোর্স পাকা হয়ে যাওয়ার পর যখন শোভন চ্যাটার্জি আনন্দে আত্মহারা হয়ে নিজেও মুক্তির স্বাদ পেতে চেয়েছেন সেই সময় রচনা চ্যাটার্জির খোঁচা, “এই তো কিছুদিন আগে কাশ্মীরে গেল হানিমুন করতে। এখন ডিভোর্স হচ্ছে শুনে ধেই ধেই করে নাচতে নাচতে আদালতে গেছে। ওদের ব্যাপারে এর থেকে বেশি আমার আর কিছু বলার রুচি নেই।”