নিজস্ব প্রতিবেদন : বিমান যাত্রার ক্ষেত্রে টিকিট বুকিংয়ের দিনের পরিপ্রেক্ষিতে ভাড়া আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। মূলত চাহিদার দিকে নজর রেখে টিকিটের দাম বাড়া কমা হয়। এবার সেই একই ঘটনা নজরে এলো ভলভো বাসের ক্ষেত্রেও। তারাও যেন বিমানের ধাঁচে ভাড়া গুনতে শুরু করেছে।
বাসের ভাড়ার ক্ষেত্রে সরকার নির্দিষ্ট একটি রেট রয়েছে। কিন্তু সেই সরকার নির্দিষ্ট রেট কতজনকেই আর মানতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভলভো বাসের ক্ষেত্রে এখন বিমানের মতই ফ্লেক্সি ফেয়ার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই আশঙ্কায় ভুগছেন যাত্রীরা।
শুধু বিমানের মত ফ্লেক্সি ফেয়ার নয়, পাশাপাশি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভাড়া বৃদ্ধি এমন জায়গায় এসে ঠেকেছে যা রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে বিমানের ভাড়াকে। যাত্রীদের অভিযোগ অনুযায়ী, যেখানে কলকাতা থেকে দীঘা এমন ভলভো বাসের ভাড়া ৪০০ টাকা, সেই জায়গায় এই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে সাড়ে চোদ্দশ টাকা। তবে আবার এই ভাড়া কমে যাচ্ছে যখন যাত্রী চাহিদা দেখা যাচ্ছে না।
অধিকাংশ ভলবো বাসের টিকিট বুকিং করা হয় অনলাইনে। এই অনলাইনে বাস বুকিং করার ক্ষেত্রেই এমন ভাড়ার তারতম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভাড়া তারতম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে দিঘা এবং শিলিগুড়ি রুটে। কারণ এই রুটে সারা বছরই যাত্রী চাহিদা বজায় থাকে। অন্যদিকে বর্তমানে কলকাতা থেকে আসানসোলে ন্যূনতম ভাড়া ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে সাড়ে পাঁচশো টাকা। আবার শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে যে ভাড়া ১৩২০ টাকা পড়তো, তা এখন ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত ছাপিয়েছে।
যদিও রাজ্য পরিবহণ নিগমের তরফ থেকে ভাড়ার এই তারতম্য যাতে না হয় তার জন্য একটি নির্দেশিকা আগেই প্রকাশ করেছে। যেখানে স্পষ্ট করে বলা রয়েছে, ভলবো বাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে ২ টাকা ২০ পয়সা এবং নন ভলভো এসিতে ২ টাকা ভাড়া নিতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশিকা কাগজ আকারেই রয়ে গেছে।