নিজস্ব প্রতিবেদন : সিম কার্ড হারিয়ে যাওয়া অথবা চুরি হওয়ার পর পুরাতন নম্বর ফিরে পেতে সেই সিম কার্ড রিপ্লেসমেন্ট করতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করা গিয়েছে সিম কার্ডের মাধ্যমে নানান ধরনের প্রতারণামূলক ঘটনা ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে সিমকার্ড রিপ্লেসমেন্ট করার ক্ষেত্রে কঠিন নিয়ম নিয়ে আসছে টেলিযোগাযোগ দপ্তর।
এই বিষয়ে গত সপ্তাহে টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গে টেলিযোগাযোগ দপ্তর একটি বৈঠক সেরে ফেলেছে। সেই বৈঠক সেরে ফেলার পর টেলিযোগাযোগ দপ্তর এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করার পরিপ্রেক্ষিতে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এই বৈঠকে টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গে টেলিযোগাযোগ দপ্তরের বৈঠকে উঠে আসে সিম কার্ডের অপব্যবহার করে অপরাধমূলক কাজ রোধ করার বিষয়টি।
বর্তমানে যে নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম অনুযায়ী, কোনো গ্রাহকের সিমকার্ড ক্ষতিগ্রস্ত, চুরি অথবা হারিয়ে যাওয়ার পর ওই গ্রাহক সেই সিম কার্ড পরিবর্তনের জন্য সংস্থাকে আবেদন করলে প্রয়োজনীয় নথি পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহককে সিম কার্ড দিয়ে দেওয়া হয়। তবে এই কঠিন পদ্ধতির ওপর দিয়ে পার হলেও জাল নথি দেখিয়ে অথবা অন্য কোন কারুকার্য করে সিম কার্ড জালিয়াতি করার মতো ঘটনা ঘটছে। এর ফলে ঘটছে আর্থিক প্রতারণার ঘটনাও।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আরও কঠিন পদ্ধতি আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে টেলিযোগাযোগ দপ্তর। তবে ঠিক কি পদ্ধতি আসতে চলেছে তা সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত কিছু স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। এই বিষয়ে আগামী সপ্তাহে নতুন করে একটি বৈঠক রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। সেই বৈঠকেই হয়তো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে কি পদ্ধতি আনা হবে তা নিয়ে। এই নির্দেশিকা তৈরির মূল অর্থ হলো, যেন প্রকৃত গ্রাহকই তার সিম কার্ড পেয়ে থাকেন।
একজনের সিমকার্ড অন্যজনের হাতে চলে গেলে মারাত্মক প্রতারণার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ এখন বহু গ্রাহকের মোবাইল নম্বরের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে তাদের আধার নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই জায়গায় এই সকল বিষয় গুলির দিকে নজর দেখেই এমন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে টেলিযোগাযোগ দপ্তর।