নিজস্ব প্রতিবেদন : একাধিক মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বিদ্ধ। এই সকল মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একাধিকবার তাকে সিবিআই তলব করেছে। কিন্তু প্রতিবার অনুব্রত মণ্ডল সেই সকল সিবিআই তলব এড়িয়ে গিয়েছেন। কখনো শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে, কখনো আবার অন্য কোন কারণে তাকে এই সকল তলব এড়াতে লক্ষ্য করা গিয়েছে।
অন্যদিকে সম্প্রতি দীর্ঘদিন ধরে অনুব্রত মণ্ডলকে এসএসকেএম হাসপাতালে উডর্বান ওয়ার্ডে ভর্তি থাকতে লক্ষ্য করা যায়। তার হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থাতেই বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার দাবি করেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মেরে দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সেই একই ধরনের মন্তব্য শোনা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখ থেকে।
সোমবার সকালে দিলীপ ঘোষ অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে বলেন, “হয় অনুব্রত সারাজীবন হাসপাতালে থাকতে হবে নইলে জেলে। অনুব্রত জেলে থাকলে ঠিক আছে। নিরাপদে থাকবেন। হাসপাতালে থাকলে বাঁচার সম্ভাবনা কম। অনুব্রত অনেক মামলায় অভিযুক্ত। একটা চাবি হারিয়ে ফেললেই হল। তাই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য ওঁকে মেরে ফেলা হতে পারে।”
বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়কের এমন আপত্তিকর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বনগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গোপাল শেঠ। তবে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের না হলেও তৃণমূল দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যে বিরক্ত। এখন এর পরিপ্রেক্ষিতে কোন ব্যবস্থা দলীয় ভাবে নেওয়া হয় কিনা তা দেখার।
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডল গত শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে রাত্রি পৌনে আটটা নাগাদ ছুটি পান। এরপর শনিবার পুনরায় তাকে সিবিআই তলব করে। পরপর দুবার তলব করা হয়। যদিও এবারও অনুব্রত মণ্ডলকে আগের মতোই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সেই তলব এড়াতে লক্ষ্য করা যায়।